পুরুষের চেয়ে ভিন্ন হয় নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ, কেন?
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে প্রথমেই এই উপসর্গগুলো ঠিকমতো বোঝা দরকার। নারী ও পুরুষদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ কিছুটা আলাদা হয়। তার বড় কারণ শরীরের গঠন।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার্টের গড় গঠন ছোট হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কার্ডিয়োভাকুলার তফাত দেখা যায়। যার থেকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও আলাদা হয়ে যায়।
হার্ট অ্যাটাকের সময় হার্টের পেশির কার্যক্ষমতা কমে যায়। কারণ রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে অক্সিজেন লেভেল কমে। অক্সিজেন না পেলে কোনো পেশিই ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাই বিপদ ঘটে যায়।
পুরুষ ও নারীদের হার্ট অ্যাটাক লক্ষণে পার্থক্য কোথায়?
আরও পড়ুন
ব্যাকপেইন হতে পারে যে ভিটামিনের অভাবে
টয়লেটে মোবাইল ব্যবহারে অজান্তেই কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ছে
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
অধিকাংশ সময়েই বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি পুরুষদের মধ্যে মুখ্য উপসর্গ হিসেবে দেখা যায়। মহিলাদের মধ্যে বুকে ব্যথার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।
এই তালিকায় আছে চোয়াল, গলা, ঘাড় ও পেটে ব্যথা। এর সঙ্গে অনেক নারীর মাথা ঘোরা, ঘেমে যাওয়া, বমি বমি ভাব লক্ষণ দেখা যায়।
হার্ট ব্লকেজ
হার্টে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয় ব্লকেজের কারণেই। তবে এই হার্ট ব্লকেজ পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হতে দেখা গেছে একাধিক গবেষণায়।
দেখা গেছে পুরুষদের ক্ষেত্রে হার্টের ধমনীগুলোতে ব্লকেজ হয়। কোলেস্টেরল জমে এই ব্লকেজ তৈরি হয়। নারীদের ক্ষেত্রে হার্টের সবচেয়ে ছোট রক্তনালি মাইক্রোভাসকুলেচারে এই ব্লকেজ হয়।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার্টের আকার ছোট। এছাড়া পুরুষদের তুলনায় নারীদের রক্তনালির গড় বেধও কম হয়।
হার্ট অ্যাটাকের মূল উপসর্গ কী কী?
১. বুকের বামদিকে ব্যথা বা অস্বস্তি। ব্যথা ধীরে ধীরে বগলের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের ক্ষেত্রে চোয়াল, গলা, থুতনি পর্যন্ত ব্যথা হয়। এমনকি পেটেও ব্যথা হতে পারে।
২. মাথা ঘোরা
৩. বমি বমি ভাব
৪. গরম না থাকলেও ঘামতে থাকা
৫. শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে
এই লক্ষণগুলো দেখলে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
জেএমএস/এএসএম