মাছের মাথা খেলে কী হয়?
মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ না হলে অর্ধেক দিন খাবার হজম করা মুশকিল হয় অনেকেরই। অনেকের আবার প্রতিদিনই মাছের কোনো না কোনো পদ রাখতে হয় পাতে।
তবে এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা মাছের মাথাটা খেতে বেশি ভালবাসেন। মাছের মাথার স্বাদ রীতিমতো সুস্বাদু। তবে মাছের মাথা খাওয়া শরীরের জন্য কতটা ভালো?
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তিও
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মাথা থেকে প্রায় সবরকম পুষ্টিগুণই পাওয়া যায়। এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে আবার স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও বেশি থাকে।
মাছের মাথায় কোলেস্টেরল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই কম। মাছের মাথা সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ। এতে তেমন কার্বোহাইড্রেট নেই। বরং প্রোটিন আছে অনেকটাই।
মাছের মাথা খাবেন কেন ?
মানসিক অবসাদ কমায়
মাছের মাথায় একটা বিশেষ ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটির নাম ডোকোসাহেক্সাইনোয়িক অ্যাসিড। এটি মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: টিবি রোগের ঝুঁকি বেশি কাদের? কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন?
হার্টের রোগ দূর করে
হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে মাছের মাথা। এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ একেবারেই কম। তাই মাছের মাথা খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা মেন্টাল স্ট্রেস কমাতেও মাছের মাথার বড় ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা থ্রি অ্যাসিডই এর কারণ।
মগজ ভালো রাখে
কথায় আছে, মাছ খেলে বুদ্ধি আড়ে। এটি সত্যিই বটে। কারণ মাছের মাথায় প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি মস্তিষ্কের কোষ ভালো রাখতে বিশেষ করে জরুরি।
আরও পড়ুন: পাইলস কেন হয়? জানুন লক্ষণ ও সমাধানের উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
বর্তমানে ডায়াবেটিসের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। মাছের মাথার পুষ্টিগুণ আমাদের মেটাবলিক হার বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চোখের যত্ন নেয়
চোখ ভালো রাখতেও মাছের মাথা খাওয়া দরকার। এটি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। যা চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে। বয়স বাড়লেও চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে দৈনিক পাতে রাখুন এই সবজি
আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর করে
মাছের মাথার পুষ্টিগুণ অটোইমিউন রোগের ঝুঁকিও কমায়। একটি বিশেষ ধরনের আর্থ্রাইটিসের অটোইমিউন রোগের কারণে হয়। তার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় মাছের মাথায় থাকা পুষ্টিগুণ।
স্ট্রেস দূর করে
মাছের মাথা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কোষের ক্ষতি করে। ভিটামিন এ’র মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সেই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র: এবিপি লাইভ/অনলি মাই হেলথ
জেএমএস/এএসএম