শীতে অলসতা কাটাতে কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

শীতকালে বেশিরভাগ মানুষই অলসতাই ভোগেন। এ সময় শারীরিক কসরতের ইচ্ছেও কমে যায়। বসে থাকার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়, এতে ওজন বাড়তে পারে।

ফলে স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই অলসতা যেন শরীর ও মনে জেঁকে না বসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: শীতে শ্বাসকষ্ট কমাতে অ্যাজমা রোগীরা যা মানবেন

যদিও শীতকালীন অলসতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যার মধ্যে সূর্যালোকের সংস্পর্শ কমে যাওয়ার ফলে সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এছাড়া সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি বা স্যাড), ঋতুর সঙ্গে যুক্ত এক ধরনের বিষণ্নতা, শীতের অলসতায়ও অবদান রাখতে পারে।

তাহলে শীতে অলসতা কাটানোর উপায় কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের অলসতা মোকাবেলা ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কী করবেন-

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে যেভাবে বেঁকে যায় মেরুদণ্ড-হাড়

সূর্য আলো গায়ে মাখুন

শীতকালে দিনের আলোতে বাইরে সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার মেজাজ ও অ্যানার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।

ঘরের কাজ করুন

শীতকালে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাত্রা বজায় রাখতে যোগব্যায়াম, হোম ওয়ার্কআউট বা নাচের মতো শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। আবার অলসভাবও কমবে।

আরও পড়ুন: শীতকালে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে কেন?

পর্যাপ্ত ঘুমান

নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখুন। দৈনিক অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন। না হলে অলসতাসহ ও নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়বে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শীতে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। সব সময় চেষ্টা করুন শীতে শরীর হাইড্রেট রাখতে।

এ সময় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, পাশাপাশি ফলের রসসহ শীতের সবজির স্যুপ উষ্ণ ও সুস্থ থাকতে পারেন।

আরও পড়ুন: শীতে ওজন কমাতে কী খাবেন?

মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন

মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে এ সময় ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এতে মন শান্ত থাকবে, পাশাপাশি হতাশা, অলসতা ও মন খারাপও কমবে।

সূত্র: হেলথ শটস

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।