অতিরিক্ত ‘প্যারাসিটামল’ খেলে যে সমস্যা হতে পারে
জ্বর, মাথাব্যথার সমস্যায় কমবেশি সবাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্যারাসিটামল গ্রহণ করেন। তবে এই অভ্যাস কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, জ্বর, মাথাব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথার মতো সমস্যায় প্যারাসিটামল অত্যন্ত কার্যকরী ও নিরাপদ ওষুধ।
আরও পড়ুন: নারীরা কেমন পুরুষের প্রেমে পড়েন?
তবে সমস্যা হলো, অনেকেই সঠিক নিয়ম মেনে এই ওষুধ খান না। আর এ কারণেই তারা প্যারাসিটামল ওভারডোজে সমস্যা পড়েন। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কী কী লক্ষণ দেখা যায় জেনে নিন-
কথায় কথায় প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে প্রাথমিকভাবে আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে বমি বমি ভাব। এমনকি থাকতে পারে অস্বস্তি।
এরপর ধীরে ধীরে বুকের ডানদিকের পাঁজরের তলায় ব্যথা শুরু হতে পারে। এমনকি ত্বক ও চোখ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে (জন্ডিস)। তাই প্যারাসিটামল ওভারডোজ নিয়ে অবশ্যই সাবধান হন।
আরও পড়ুন: ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি?
আর কী কী উপসর্গ থাকে?
১. আশপাশে কী ঘটছে তা বুঝতে সমস্যা হতে পারে
২. ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে পারে কিডনি
৩. প্রস্রাবের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
৪. সুগার ফলও করতে পারে
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
৬. কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে অবসাদ।
আরও পড়ুন: গোসলের পরপরই যে কাজ করা বিপজ্জনক
এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই রোগীকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পৌঁছাতে হবে। এরপর চিকিৎসক রোগীর উপসর্গ শুনেই সমস্যা সম্পর্কে একটা আন্দাজ করে নিয়ে শুরু করে দেবেন চিকিৎসা।
তবে ছোটদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর আগে তার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি। না হলে ডোজ বেশিমাত্রায় হয়ে গেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তাতেই বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে আপনার ছোট্ট সোনা।
আরও পড়ুন: পায়ের রং বদলে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে বিপজ্জনক
এদিকে প্রাপ্তবয়ষ্করা ৬ ঘণ্টা অন্তর অন্তর প্যারাসিটামল খেতেই পারেন। এতেই উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত ওজন ৫০ এর বেশি হলে অনায়াসে প্যারাসিটামল ৬৫০ খাওয়া যায়।
সূত্র: এই সময়
জেএমএস/এমএস