শিশুর পড়াশোনায় মন নেই, ডিপ্রেশনে ভুগছে না তো?
ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ এই শব্দের সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। সব সময় একাকিত্বে ভোগা, দুঃখবোধ, কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলা, নিজেকে আর পাঁচজনের থেকে গুটিয়ে নেওয়া- এ ধরনের লক্ষণগুলো আপনার সন্তানের মধ্যে দেখলে কখনো তা উপেক্ষা করবেন না।
শিশুদের মধ্যে মানসিক অবসাদ দেখা দেবে না এমনটি ভাবা বোকামি। কারণ যে কোনো বয়সেই হানা দিতে পারে মানসিক অবসাদ। শুধু বড়রাই নয়, ছোটরাও এর শিকার হয়।
আরও পড়ুন: পিঠ ও কোমরে ব্যথার কারণ কী?
বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালীন অবস্থায় অবসাদে ভোগার ঝুঁকি বেশি। এক্ষেত্রে কোনো শারীরিক বা আবেগজনিত জোরালো আঘাত বা হেনস্থার কারণে, পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে।
খুব দ্রুত এই সমস্যা চিহ্নিত না করতে পারলে কিন্তু ভবিষ্যতে সমস্যা বাড়বে। তাই শিশুদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও বাবা-মায়ের নজর রাখা উচিত। কখন-কোন লক্ষণ দেখলে আপনার সন্তানকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাবেন জেনে নিন-
ঘুমের ধরনে পরিবর্তন
আপনার সন্তানের ঘুমের ধরনের উপর নজর রাখুন। কম ঘুমোনো, বেশি ঘুমোনো কিংবা ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা দেখলে সতর্ক হোন। ঘন ঘন ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা, ভয়ে রাতে বারবার জেগে ওঠা এসব লক্ষণ সাধারণ নয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের এক বছর হতেই স্ত্রী যা আশা করেন স্বামীর কাছে
ব্যবহারে পরিবর্তন
শিশু-কিশোরদের ব্যবহারে আচমকা বদল দেখলে সতর্ক হোন। কোনো কারণ ছাড়াই রেগে যাওয়া, একটানা কান্নাকাটি, অকারণ ঝগড়া করা এসব উপসর্গ দেখলে সাবধান হতে হবে।
পছন্দের কাজে অনীহা
যদি আপনার শিশু আর আগের মতো তার পছন্দের কাজ, খেলতে যাওয়া, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেলামেশা করার বিষয় অনীহা দেখায় তাহলেও সতর্ক হতে হবে।
আরও পড়ুন: রাগের মাথায় সঙ্গীকে যে কথা ভুলেও বলবেন না
পড়াশোনা না করা
হঠাৎ পড়াশোনার মান কমে যাওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া, স্কুলে যেতে অনীহা, কাজের গতি কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ কিন্তু ভালো নয়।
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া
বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, নানা কারণে নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করার লক্ষণ দেখলে সন্তানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সূত্র: কিডস হেলথ
জেএমএস/এমএস