কাঁচা নাকি পাকা কোন কলায় পুষ্টি বেশি?
কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। এই ফলে আছে অত্যন্ত জরুরি কিছু খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত কলা খেতে পারেন।
তবে উপকারী এ ফল নিয়েও কিন্তু বিতর্ক কম নেই। এক্ষেত্রে একদল মনে করেন, কাঁচা কলাই গুণের রাজা। বরং পাকা কলা খেলেই তেমন একটা উপকার মিলবে না।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক নাকি প্যানিক অ্যাটাক বুঝবেন যেভাবে
আবার অপরদলের কথায়, কাঁচা কলা উপকারী ঠিকই, তবে স্বাদে-গুণে পাকা কলার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। তবে কাঁচা না পাকা কলা, কোনটির স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পাকা কলা খেলেই কিন্তু মিলবে একাধিক পুষ্টিগুণ। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেশিয়ামের মতো জরুরি কিছু ভিটামিন ও খনিজ।
শুধু তাই নয়, আমাদের পরিচিত পাকা কলা হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্টের খনি। তাই নিয়মিত পাকা কলা খেলেই কিন্তু একাধিক রোগ থাকবে দূরে।
আরও পড়ুন: শরীরে ক্যানসারের উপস্থিতি টের পাবেন যে লক্ষণে
একই সঙ্গে এই ফল হলো শক্তির ভাণ্ডার। তাই দেহে এনার্জির ব্যাটারি শেষ হয়ে এলে, একটি কলা খেতেই পারেন। এতেই শরীর ফুল চার্জ হয়ে যাবে। আপনি কর্মমুখর দিন কাটাতে পারবেন।
কাঁচা কলাও উপকারী
কাঁচা কলা বা অপক্ব কলায় আছে ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজের মতো ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই তো দেহ সুস্থ রাখতে কাঁচা কলার জুড়ি মেলা ভার।
নিয়মিত এই কলা খেলেই ব্লাড প্রেশার ও সুগারকে বশে আনতে পারবেন। এছাড়া এতে মজুত থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্রনিক ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে পারে। তাই পেটের অসুখ থেকে মুক্তি পেতেও কাঁচা কলা উপকারী।
আরও পড়ুন: খোসাসহ শসা খেলে কী হয়?
তাহলে কাঁচা না পাকা কলা কোনটি খাবেন?
কাঁচা কলা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পাকা কলা ফল হিবেবে। তাই এই দুই ধরনের কলারই নিজস্ব কিছু গুণ আছে। আর সুস্থ থাকতে পাকা কলা ও কাঁচা কলা দুটোই খেতে পারেন।
এতেই একাধিক ক্রনিক রোগের ফাঁদ এড়াতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, রান্না করে খেলে কলার ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ধূমপানের কারণে দাঁতে হলদেটে দাগ হলে কী করবেন?
তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে চাইলে পাকা কলাই ফল হিসাবে খেতে হবে। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। ডায়াটেটিস রোগীদের জন্য আবার কাঁচা কলা সেরা।
তবে ভরপেটে কলা বা অন্য ফল খাবেন না। বরং খাবার খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা বাদে ফল খেতে পারেন। এতেই মিলবে উপকার। এমনকি এড়াতে পারবেন একাধিক রোগের ফাঁদ।
জেএমএস/জেআইএম