স্মার্টফোন শিশুর যেসব স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য দায়ী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

মামুন রাফী

স্মার্টফোন মানবদেহের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিশেষ করে ছোট্ট শিশুদের অনেক বেশি ক্ষতি করে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা এখনো। আমরা অনেক সময় আমাদের শিশুদের কান্না থাকাতে, এক জায়গায় স্থির রাখতে বা খাবার খাওয়ানোর সময় স্মার্টফোন দিয়ে থাকি। যেটা শিশুদের একটা নেশা হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে শিশুদের স্মার্টফোন না দিলে খেতে চায় না এবং দুষ্টমি আরও বেশি করে। কিন্তু স্মার্টফোন শিশুদের নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।

অনেক মা-বাবা আছে তাদের সন্তান স্মার্টফোন চালাতে পারে, এজন্য অনেক গর্ব করে থাকে। কিন্তু এটা ভাবেনা যে তাদের শিশু অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সব মা-বাবার অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এই স্মার্টফোনই একদিন শিশুর কাল হয়ে দাঁড়াবে।

বলতে গেলে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন বর্তমানে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। আগে স্মার্টফোন শুধু ধনী ব্যক্তিরা ব্যবহার করতে পারতেন। তবে এখন খুব সহজলভ্য হওয়ায় প্রায় সব পেশার মানুষ এই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুন: শিশুদেরও হচ্ছে ফ্যাটি লিভার, যে লক্ষণে সতর্ক হবেন

প্রযুক্তি অগ্রযাত্রার ফলে, এখন শিশুদেরকেও তার মা-বাবা স্মার্টফোন দেন। এতে তারা সন্তানের কতটা ক্ষতি করছেন তা হয়তো বুঝতে পারছে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্মার্টফোন শিশুদের কী কী স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে-

দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
স্মার্টফোনে রয়েছে ক্ষতিকর নীল আলো। যা চোখের অনেক বেশি ক্ষতি করে। শিশুদের চোখ অনেক স্বচ্ছ হয়ে থাকে, ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারে চোখে ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। খুব কাছ থেকে স্মার্টফোনের স্ক্রিন দীর্ঘদিন দেখার ফলে অনেক শিশুর দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। তারা দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। এই বয়সেই চশমা ব্যবহার করতে হয়।

টিউমার ও ক্যানসার
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনে থাকা রেডিয়েশন শিশুদের টিউমার বা ক্যানসারের জন্য দায়ী। দীর্ঘক্ষণ ধরে শিশুরা স্মার্টফোন ব্যবহার করলে তাদের টিউমার ও ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্মার্টফোনের রেডিয়েশন বড়দের চেয়ে শিশুদের অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে। তাই বাবা-মার উচিত শিশুকে দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া।

আরও পড়ুন: ক্যানসারের জন্য দায়ী কোন কোন অভ্যাস?

মস্তিস্কের ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটায়
শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারে শিশুদের শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। যেমন শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, কারও সঙ্গে সহজে মিশতে না পারা এর মধ্যে অন্যতম। শিশুর মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয় এতে।

পড়াশোনার অমনোযোগী
পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক শিশু বিনোদনের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করে। অনলাইন গেমে ডুবে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের বদঅভ্যাস তৈরি হয়। এতে পড়াশোনায় অনেক বেশি অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।

শারীরিক ও মানসিক সমস্যার পাশাপাশি শিশুদের আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে আসক্তি থেকে অনেক শিশু জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপে। গ্রুপে বিভিন্ন অনুপযোগী ভিডিও নিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এক সময় এসব অনুপযোগী ভিডিও দেখে শিশুরা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।