বিবাহিত জীবনে অসুখী হয়েও কেন দম্পতিরা একসঙ্গে থাকেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩

দাম্পত্য কলহ কমবেশি সব সংসারেই হয়। তবে অতিরিক্ত অশান্তি ও মনোমালিন্য সংসার ভাঙনের কারণ হতে পারে। যদিও অনেকের ক্ষেত্রে কাগজ কলমে বিচ্ছেদ না ঘটলেও মনে মনে ঠিকই দম্পতিরা একে অন্যের থেকে দূরে চলে যান।

এমন অবস্থায় অনেক দম্পতিই বিবাহিত জীবনে অসুখী হওয়ার পরও একসঙ্গে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের কথা চিন্তা করে। যদিও এর পেছনে আছে বেশ কয়েকটি কারণ, চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুন: সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

সন্তানদের দিকে তাকিয়ে

সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক দম্পতিই অসুখী সম্পর্কই টেনে নিয়ে যান। সন্তাদের জন্য বাবা-মার বিচ্ছেদ হতে পারে মর্মান্তিক, এতে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এমনকি অনেক শিশুরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েও পড়ে। এ কারণে শুধু সন্তানের কথা ভেবে অসুখী সম্পর্কে থেকে একসঙ্গে জীবন কাটান অনেক দম্পতি।

আরও পড়ুন: ব্রেকআপের কষ্ট ভুলতে করণীয় কী?

একা থাকতে ভয় পাওয়ায়

বিয়ের পরে কমবেশি সব দম্পতিই একে অন্যের উপর মানসিকভাবে নির্ভর হয়ে পড়েন। একসঙ্গে থাকার কারণে মায়া ও ভালোবাসাও বাড়তে থাকে।

এমন অবস্থায় বিাবাহবিচ্ছেদ দুজনের মধ্যে একাকিত্ব ডেকে আনে, ফলে অনেকেই একা থাকার কষ্ট মেনে নিতে পারেন না। ফলে অসুখী থাকলেও দুজনে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ও বছরের পর বছর এভাবেই দিন কাটান।

আরও পড়ুন: স্বামী আপনাকে ভালোবাসেন বুঝবেন যে লক্ষণে

সামাজিক বিব্রত বা লজ্জা এড়াতে

কিছু মানুষ একে অপরের থেকে নিজেদের আলাদা করতে পারে না। কে কী বলবে এই ভেবে তারা বাইরের মানুষের সামনে নিজেদেরকে সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।

তারা ভয় পায় যে অন্যরা তাদের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলবে। ফলে অন্যদের কাছে ভালো থাকার জন্য হলেও অনেকে আছেন যারা অসুখী বিবাহে থাকতেই পছন্দ করে।

আরও পড়ুন: সঙ্গীর চোখে চোখ রেখে কথা বললে যা হয়

জীবনধারা বা অভ্যাসগত কারণে

কিছু মানুষ তাদের জীবনধারা বা অভ্যাসগত কারণে অসুখী সম্পর্কেও খুশিবোধ করেন। সঙ্গীর উপস্থিতি যত কঠিন বা ভয়ংকর হোক না কেন, তারা অসুখী বিবাহে থাকতে পছন্দ করে।

সূত্র: ডেমিক ব্লগ

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।