পেট ভরে খাওয়ার পর যে কাজ ভুলেও করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অনেকেই আছে খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়েন। তবে পেট ভরে খাওয়ার পর কনো শুয়ে পড়বেন না। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে যা ভারি খাবার খাওয়ার পর কিংবা পেট ভরে খেলে তার পরপরই করবেন না।

না হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবার খাওয়ার পরে কোন কোন কাজ একেবারেই করা চলবে না সেগুলো দেখে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুন: মুগ ডাল দিয়ে পালং শাক ঘণ্ট

১. খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়া বা ঘুমনো একেবারেই উচিত নয়। এটি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। খাওয়াদাওয়ার পরেই শুয়ে পড়লে হজমের সমস্যা হতে পারে।

খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। খাবার খাওয়ার পরেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

২. খাওয়ার পরে জিম বা ওয়ার্ক আউট করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। খাবার খাওয়ার পরেই জিমে গেলে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না।

আরও পড়ুন: ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে যা খাবেন

খাবার খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে তারপর শরীরচর্চা করুন। নাহলে আপনার শরীরে রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. খাওয়ার পরপরই চা-কফি না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এক্ষেত্রে শরীরে আয়রন অ্যাবসরপশনে সমস্যা হয়।

এছাড়া দেখা দিতে পারে মিনারেল ইমব্যালেন্স। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা রাতের খাবারের পর চা-কফি এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন: কোন রঙের জিহ্বা কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়?

৪. অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে। এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। এমনিতেই ধূমপানের ফলে আমাদের শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শুধু হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের ক্ষতি নয়, হজমশক্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করে এই অভ্যাস। তাই খাবার খাওয়ার পরে ধূমপানের অভ্যাস এখনো ত্যাগ করুন।

৫. পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর ফল না খাওয়া ভালো। এতে শরীরে অস্বস্তি বাড়তে পারে। যদিও ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

তবে খাবার খাওয়ার পরেই ফল খেলে অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই দুপুর বা রাতের খাবারের পরপরই ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

সূত্র: এপিবি লাইভ

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।