ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কাদের ও কেন হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরেই। ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ে অসচেতনতার কারণে এটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

তবে কেউ যদি ডায়াবেটিস উপেক্ষা করে জীবনধারায় পরিবর্তন না আনেন কিংবা নিয়মিত ওষুধ না খান, তাহলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে আঘাত হানে। ঠিক যেমন ডায়াবেটিসের প্রভাবে অন্ধত্বও বরণ করতে পারেন। যাকে বলা হয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর কাছে কোন ৫ জিনিস কখনো লুকাবেন না

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগটি আসলে কী?

দীর্ঘদিন ধরে যারা ডায়াবেটিসে ভোগেন, তাদের দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি হয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো রোগ। রোগটি যদিও একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। তখন আর ফিরে আসার কোনো উপায় থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসে দীর্ঘদিন ভুগলে একসময় তা প্রভাব ফেলে রক্তনালি, শিরা ও ধমনীতে। এমনকি রেটিনার মতো সূক্ষ্ম স্থানেও যে ছোট ছোট ধমনী থাকে, সেখানেও প্রভাব ফেলে ডায়াবেটিস।

অনেক সময় রক্তনালি ছিঁড়ে যায়। ফলে চোখে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। আবার অনেক সময়ে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলেও রক্ত চলাচলের এই একই সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: গ্যাসের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝবেন যেভাবে

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কেন হয়?

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দীর্ঘদিন ধরে থাকা ডায়াবেটিসে ভোগা। তার সঙ্গে যদি রোগীর রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত বাড়তি থাকে ও অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাহলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির রোগটি ক্রমশ বাড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনো ডায়াবেটিস রোগীর হাইপারটেনশন ও ইউরিনারি প্রোটিন লিকেজ অর্থাৎ অ্যালবুমিনিউরিয়ার মতো আনুষঙ্গিক রোগ থাকে, চোখের সমস্যাটি বাড়তে পারে। এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: যমজ বাচ্চা হবে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণগুলো কী কী?

যদিও রোগটি ধরা পড়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে। তবে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো চোখে ঝাপসা দেখা। একই সঙ্গে হঠাৎ করে চোখে আলোর ঝলকানি কিংবা চোখের সামনে ভাসমান নড়তে দেখা। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির চিকিৎসা কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, একবার ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ধরা পড়লে তা একদম সারানো যায় না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা, থেরাপি ও পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের ক্ষতি এড়ানো যায়। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি গুরুতর পর্যায়ে গেলে অপারেশন বা লেজার থেরাপি ছাড়া উপায় থাকে না।

সূত্র: মায়োক্লিনিক

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।