পা দেখেই বুঝে নিন ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন কি না
স্থূলতা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি।
তার উপর যদি মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তাহলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হলে ‘সিরোসিস অব লিভার’ও হতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরুষের শরীরে ৫ লক্ষণ হতে পারে মরণব্যাধির ইঙ্গিত
ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই আগাম সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন কী কী উপসর্গ দেখা দিলে ফ্যাটি লিভার নিয়ে সচেতন হবেন।
এই রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে পায়েও। যদিও ফ্যাটি লিভারের রোগ সরাসরি পায়ে প্রভাব ফেলে না। নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস বা সিরোসিসের পর্যায় পৌঁছে গেলে, তা রক্তসংবহনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ফলে সারা শরীরেই রক্ত সংবহন ব্যহত হয়।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের অনেক সময়ে পায়ে ফোলা ভাব দেখা যায়, চিকিৎসকেরা একে বলেন অডিমা। এছাড়া লিভার সিরোসিসের রোগীর পেটে তরল জমতে শুরু করে, যাকে অ্যাসাইটস বলা হয়।
আরও পড়ুন: কানে ময়লা জমে কেন, বের করার উপায় কী?
ফ্যাটি লিভার রোগ কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের (সিভিডি) ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়ে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ হতে পারে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে অন্যান্য অঙ্গসহ পায়েও রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয় না। এর ফলে পায়ে তীব্র যন্ত্রণা, পেশিতে টান, হাঁটতে গিয়ে পায়ে জোর না পাওয়ার মতো সমস্যা শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা মারাত্মক রোগের লক্ষণ নয় তো?
কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
১. অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
২. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াভ
৩. কোনো কারণ ছাড়া ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া।
৪. প্রস্রাবের রং ও গন্ধে পরিবর্তন।
৫. খিদেও বেড়ে যাওয়া। এমন সময়ে মিষ্টি খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক
জেএমএস/এএসএম