জ্বর সারলেও দুর্বলতা ও হাত-পা অবশ ধরা সারছে না কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩

দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন বা বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর, সর্দি, চোখে সংক্রমণ এখন ঘরে ঘরে। কিছু দিনের মধ্যেই তা সেরে গেলেও অদ্ভুত এক স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কমবেশি সবাই। চিকিৎসকেরা বলছেন, জিবিএস বা গিলান-বারে সিনড্রোমের দেখা মিলেছে।

এক্ষেত্রে জ্বর সারলেও হাতে-পায়ে ব্যথা, ঝিঁঝি ধরা, অবশ হয়ে আসা এমনকি পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে এই রোগের লক্ষণ। কারও কারও আবার মুখের এক পাশও পক্ষাঘাতে অবশ হয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: মলের রং পরিবর্তন, ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?

এই সংক্রমণজনিত জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পরে অনেকেই এমন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন বহু চিকিৎসক।

হাভার্ড হেল্থ বলছে, স্নায়ুর এই জটিল রোগ গিলান-বারে সিন্ড্রোমের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে ফিজিয়োথেরাপ এই রোগের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগলেও তা মরণব্যাধি নয়। তবে ব্যক্তিবিশেষে তা আবার মারাত্মক আকার ধারণ করতেই পারে। এর লক্ষণ কী কী?

আরও পড়ুন: মুখে ঘা হয় কেন? সারাতে কী করবেন?

হাত-পায়ের আঙুলে, পাতায় ঝিঁঝি ধরা, পিন ফোটার মতো অনুভূতি সব সময় সাধারণ নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে পায়ের পাতা অবশ হতে হতে ক্রমশ দেহের উপরের দিকও অসাড় হয়ে যাওয়ার ফলে হাঁটাচলায় অসুবিধা হতে পারে।

মুখের একদিক ক্রমশ অসাড় হয়ে যাওয়ার ফলে কথা বলতে, খেতেও সমস্যা হতে পারে অনেকের। এই রোগে আক্রান্ত হলে চোখের মণিও স্থির হয়ে যেতে পারে।

যেহেতু শরীরে কোনো শক্তি থাকে না, তাই মলমূত্র ত্যাগ করতেও সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন, রক্তের চাপ কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: টাইমস নাউ নিউজ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।