আঙুল ফোটালে কী হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৩

আঙুল ফোটানোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। কাজের ব্যস্ততা থেকে শুরু করে অবসরেও হাতের আঙুল ফোটান অনেকেই। শুধু বড়রাই কেন ছোটরাও এই অভ্যাস রপ্ত করে পরিবারের কারও না কারও কাছ থেকে।

অনেক সময় নিজের অজান্তেই, আবার কখনো জেনে বুঝেই এই কাজ করেন অনেকেই। তবে আঙুল ফোটানো কি ক্ষতিকর? কিংবা এর সঙ্গে হাড় ক্ষয় হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কি? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাই বা কী বলছেন?

আরও পড়ুন: প্রোস্টেটে যে লক্ষণ দেখলেই পুরুষের সতর্ক হতে হবে

বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুল ফাটানোর খুবই সাধারণ একটি বিষয়। যদিও এর সঙ্গে মানসিক বা শারীরিক কোনো সমস্যার যোগ নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানুষ নার্ভাস হলে বেশি আঙুল ফোটান। এর মাধ্যমেই নাকি তারা দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করেন!

আঙুল ফোটালে কী হয়?

আঙুল ফোটানোর মাধ্যমে আঙুলের অস্থিসন্ধির দুটি ভাগের মধ্যে দূরত্ব সামন্য বাড়ে। এর ফলে গ্যাস বাবল তৈরি হয়। এই গ্যাস বাবল ফেটেই আঙুল ফোটানোর শব্দ হয়। বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে বেলুন ফোটানোর সঙ্গে তুলনা করেন।

একই আঙুল পরপর দুইবার সাধারণত ফাটে না। এর কারণ হলো আপনার আঙুলে সেই গ্যাস বাবল সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় না। এজন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন: শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গেলে দ্রুত যা করবেন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আঙুল ফোটালে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে অনেকেরই বিষয়টি বদঅভ্যাসে পরিণত হয়। ফলে বারবার একই কাজ করতে গিয়ে ওই জয়েন্টে প্রদাহ তৈরি করে ফেলেন।

আঙুল ফোটানো কি ক্ষতিকর?

ক্যালোফোর্নিয়ার একজন চিকিৎসক নিজের উপরই এই বিষয়ক একটি পরীক্ষা করেন। তিনি সাধারণত নিজের একটি হাতের আঙুলই ফোটাতেন।

দীর্ঘদিন ওই আঙুল ফোটানোর কারণে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য তিনি এক্স-রে করেন। তবে কোনো সমস্যায় কিন্তু ধরা পড়েনি।

আরও পড়ুন: বিয়ে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখবেন যে কৌশলে

এই প্রসঙ্গে ভারতের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, ‘আঙুল ফোটানোর সঙ্গে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার তেমন কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাই এ বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করার দরকার নেই। মনে চাইলে আঙুল ফোটাতেই পারেন। তবে এটি বদঅভ্যাসে পরিণত হলে কিন্তু জয়েন্টে আঘাত পেতে পারেন।’

সূত্র: সিডার্স/হেলথ হার্ভার্ড

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।