কঠিন যে রোগে বয়স বাড়তেই উচ্চতা কমতে শুরু করে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ০৪ জুলাই ২০২৩

বয়স বাড়তেই হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। হাড়ের যে রোগগুলো সবচেয়ে বেশি মানুষকে আক্রমণ করে, তার মধ্যে অন্যতম অস্টিওপোরোসিস। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনো উপসর্গ না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এই রোগে। এমনকি উচ্চতাও কমে যেতে পারে।

আসলে চাকতির মতো যে হাড় বা ডিস্ক থাকে, তা পানিশূন্য হয়ে পড়ার কারণেই মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যেতে শুরু করে। আবার মেরুদণ্ডের হাড়ের বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও এমনটি হতে পারে।

আরও পড়ুন: সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু বুঝবেন যেসব লক্ষণে

শুধু অস্টিওপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে ৪০ পেরিয়ে গেলে তা আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে সঠিক খাদ্যাভাস জরুরি।

কী কী খাবেন?

ক্যালশিয়াম

হাড় ভালা রাখতে ক্যালশিয়ামের ভূমিকা অনেক। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম।

ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো দুধ। তবে যারা দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন না, তারা গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি খেতে হবে। পালংশাক, বাঁধাকপি ও শালগমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম মেলে।

আরও পড়ুন: প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ

ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক

এই দু’টি মৌলও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। কুমড়োর বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও পালং শাকে ম্যাগনেশিয়ামে পাওয়া যায়। এছাড়া মাংস, ডিম ও ডাল থেকেও পাওয়া যায় জিংক।

ভিটামিন

হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ও কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোদ ও সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ভিটামিন কে এর উৎস হলো সবুজ শাকসবজি।

প্রোটিন

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোটিন। অনেকে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খান। তবে এ ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক/ইউএএমএস হেলথ

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।