গরু দেখেই যেভাবে বুঝবেন মাংস কতটুকু হবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ২৭ জুন ২০২৩

ঈদুর আজহা উপলক্ষে চলছে শেষ পর্যায়ে গরু বেচাকেনা। শেষ সময়ে কোরবানির পশু কিনতে যাওয়া ক্রেতার সংখ্যা একটু বেশিই থাকে। গরুর হাটে গিয়ে সবাই নিজ নিজ বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে সুস্থ ও ভালো গরু কেনার চেষ্টা করেন। বয়স কম ও মাংস বেশি এ ধরনের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি হাটে।

তবে গরু দেখে অনেকেই হয়তো টের পান না এর গায়ে কতটুকু মাংস হবে। আর এ কারণে বিক্রেতার কথা শুনে অনেকেই প্রতারিত হয়ে বেশি দামে কম মাংসওয়ালা গরু কিনে প্রতারিত হন। আসলে গরু মোটাতাজা হলেই যে তার মাংস বেশি হবে তা কিন্তু নয়।

আরও পড়ুন: ঈদের বাজারে জাল নোট চিনবেন যেভাবে

অনেক সময় গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার কারণে গরুর চামড়ার নিচে তরল জমে যায়। ফলে সেসব গরুর গায়ে অনে মাংস মনে হলেও কোরবানির পর দেখা যায় মাংস আন্দাজের তুলনায় অনেক কম হয়েছে।

যদিও কেনার সময় গরুর ওজন মেপে নেওয়া যায় তবে কিন্তু গরুর চামড়া ও অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে মাংস কত কেজি হবে তা আগে থেকে জানতে পারেন না অনেকেই।

তাই যারা এখনও কোরবানির গরু কেনেননি বা কিনতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই জেনে নিন কোন কৌশলের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন গরু গায়ে কতটুকু মাংস আছে।

আরও পড়ুন: কোরবানির জন্য কী কী সরঞ্জাম কিনবেন?

এজন্য ছোট্ট একটি অংক করতে হবে আপনাকে। মাংস কত কেজি পাওয়া যাবে তা জেনে গরু কিনতে হলে আপনাকে একটি দৈর্ঘ্য মাপার গজ ফিতা সঙ্গে নিতে হবে।

এরপর গরুর দৈর্ঘ্য ও বুকের বেড় মেপে নিন। মনে রাখতে হবে, দৈর্ঘ্য মাপতে হবে পয়েন্ট অফ শোল্ডার থেকে পয়েন্ট অফ হিপ পর্যন্ত।

এবার ক্যালকুলেটরে ছোট্ট একটি অংক করে নিন। গরুর দৈর্ঘ্য (ইঞ্চিতে) গুণ বুকের বেড়ের স্কয়ার (ইঞ্চিতে) ভাগ ৩০০। এতে যে ফলাফল আসবে সেটি হবে পাউন্ডে গরু ওজন। ওই ফলাফলকে ২.২ (২ পয়েন্ট ২) দিয়ে গুণ করলে কেজিতে ওজন পাওয়া যাবে।

এই ওজনের ৫০-৫৫ শতাংশ কেজি মাংস পাওয়া সম্ভব। যা সহজেই বুঝতে পারবেন। তবে গরু ক্ষেত্রে মাংস পাওয়া যাবে দৈহিক ওজনের ৪৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কোরবানি ঈদে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীরা যে নিয়ম মানবেন

গরু সুস্থ কি না বুঝবেন যেভাবে

সুস্থ গরুর লক্ষণ হলো- পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি সজাগ থাকা, নাক, মুখ ও চোখ পরিষ্কার ও উজ্জ্বল থাকা, শরীরের লোম মসৃণ ও চকচকে, নাকের অগ্রভাগে বিন্দু বিন্দু ঘাম, দ্রুত মাথা, কান ও লেজ নেড়ে মশা-মাছি তাড়ানো।

এছাড়া গরুর খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক থাকা, শরীরের তাপ স্বাভাবিক থাকা, মলমূত্র স্বাভাবিক থাকা। এমনকি এদের রংও স্বাভাবিক থাকে। আর সুস্থ গরু খাবারের পর স্বাভাবিকভাবে জাবর কাটবে।

আরও রোগে আক্রান্ত গরুর লক্ষণ হলো- বিষণ্ন ও অবসাদগ্রস্ত, মাথা নিচু করে থাকা, কান ঝোলানো, খাবারে অনীহা, চলাফেরায় অস্বাভাবিকতা, ডায়রিয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ও নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হওয়া।

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।