দাঁড়িয়ে পানি পান করা কি সত্যিই শরীরের জন্য খারাপ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৭ জুন ২০২৩

পানির অপর নাম জীবন। শরীর সুস্থ রাখতে পানি পান করার বিকল্প নেই। শরীরের আর্দ্রতা জোগাতে পানিই একমাত্র ভরসা। দিনে ৬-৭ গ্লাস পানি পান না করলে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে শরীরে। তবে পানি পান করার সঠিক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

আর এ কারণে অনেকেই হয়তো ব্যস্ততার খাতিরে কিংবা অভ্যাসবশত দাঁড়িয়ে পানি পান করেন। তবে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য নাকি খারাপ, এমনটিই মতামত অনেকের। তবে সত্যিই কি এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে-

আরও পড়ুন: গরমে কত লিটার পানি পান করলে সুস্থ থাকবেন?

বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। পানি প্রচণ্ড শক্তি ও গতিতে শরীরে প্রবেশ করে ও পেটে পড়ার কারণে শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় ও বদহজমের সৃ্ষ্টি হয়।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, বসে পানি পান করলে মানুষের শরীর পানির সঠিক সুফল পায়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, এটি স্নায়ুতন্ত্রকে নষ্ট করে।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, দাঁড়িয়ে পানি পান করার অভ্যাসের ফলে জয়েন্টগুলোতে পানি জমে যায়। এর থেকে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা হতে পারে। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি পান করলে শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট করে ও টক্সিন বেড়ে যায়, যা বাতের সমস্যা শুরু করে।

আরও পড়ুন: গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে কী হয়? জানালেন পুষ্টিবিদ

ভারতীয় সেলিব্রিটি যোগবিদ ও হলিস্টিক ওয়েলনেস এক্সপার্ট আনুষ্কার তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, দাঁড়িয়ে পানি খেলে বদহজম ও অম্বল হতে পারে। এটি আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায় এমনকি ফুসফুসেরও ক্ষতি করতে পারে।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁড়িয়ে পানি খেলে ইসোফেগাসের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যে কারণে গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যায় বেড়ে।

পানি পান করার সঠিক উপায় হলো, পিঠ সোজা করে বসে পান করা। এভাবে পানি মস্তিষ্কে পৌঁছায় সহজভাবে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ উন্নত হয়। এটি হজমে সহায়তা করে ও পেটের ফোলাভাবও কমায়।

আরও পড়ুন: তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকতে স্যালাইন নাকি ডাবের পানি পান করবেন?

এছাড়া তামার পাত্রে পানি সংরক্ষণ করে পান করার অভ্যাসও খুব ভালো। তামার শীতল বৈশিষ্ট্য শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

আর অবশ্যই পানি পান করার সময় একবারে প্রচুর পরিমাণে চুমুক দেওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে পানি পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ডাবের পানি, ঘরে তৈরি তাজা ফলের রস, লেবুর পানি ও স্মুদি পান করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।