আন্তর্জাতিক আতঙ্ক দিবস
আন্তর্জাতিক আতঙ্ক দিবস আজ। প্রতিবছর ১৮ জুন পালিত হয় দিবসটি। এদিন কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার নয় বরং ভয় ও আতঙ্ক দূর করার।
এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হলো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এটি এক ধরনের উপহাসের দিবস হিসেবে পালন শুরু হয় অতীতে। শান্ত থাকা ও মানসিক চাপ দূর করার দিন এটি।
আরও পড়ুন: মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে
আতঙ্ক একটি গুরুতর বিষয়। প্যানিক ডিসঅর্ডার একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা কিছু দেশে ২ শতাংশ জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে। গবেষণার মতে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি আতঙ্কে ভোগেন।
আন্তর্জাতিক আতঙ্ক দিবসের মূল লক্ষ্য হলো মানসিক অসুস্থতার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো ও বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে দেওয়া। বর্তমান বিশ্বের মানুষ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে পরিবারে, কর্মস্থানে এমনকি সমাজেও।
তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আতঙ্ক ও উদ্বেগ কমাতে সবারই সচেতন থাকতে হবে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা করালেও মনের অসুখ সারাতে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে লজ্জা পান।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত রাগ না-কি মানসিক রোগ বুঝবেন যেভাবে
তবে আপনি যদি কোনো কারণে আতঙ্কগ্রস্ত হন তাহলে ভয় কাটাতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যে কাজগুলো আপনার মানসিক চাপ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
১৮৪৯ সালে মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার ইতিহাসে প্রথম উদ্বেগ আক্রমণের কথা অটোমার ডমরিচের রিপোর্ট করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালে ফ্রয়েড মনোবিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগ নিউরোসিসের ধারণার উপর একটি গবেষণাপত্র লিখেছেন।
১৯৮০ সালে প্যানিক ডিসঅর্ডারের ধারণাটি ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল (ডিএসএম) মানদণ্ডের বিকাশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
জেএমএস/এএসএম