ডেন্টাল ফিলিং কেন জরুরি?
কোনো আঘাত, ক্ষয়, ছিদ্র কিংবা ক্যারিজ হয়ে যদি আপনার দাঁতের কোনো অংশ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেই অংশটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিস্থাপন করা উচিত। বিভিন্ন কারণে দাঁতে ক্যারিজ হলে ফিলিং করার প্রয়োজন হয়।
ফিলিং কী?
সাধারণ অর্থে ফিলিং হচ্ছে ভরাট বা প্রতিস্থাপন করা। যা দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও একই অর্থ বহন করে। একজন দাঁতের চিকিৎসক তার কার্যকারিতা, ছিদ্র স্থান ভরাট, চেহারা পুনরুদ্ধার করতে এবং বড় কোনো ক্ষতি রোধ করতে একটি উপযুক্ত উপাদান দিয়ে আপনার দাঁত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। ভরাটের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে দাঁত পুনরায় ফিরিয়ে আনেন, সেটাই হচ্ছে ফিলিং করা।
ফিলিং কেন জরুরি?
আপনার দাঁত যখন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভেঙে যায়, ছোট বা বড় ছিদ্র হয়, ক্যারিজ হয়, ক্ষয় হয়; তখন ফিলিং করার প্রয়োজন হয়। তবে দাঁতে যদি প্রদাহের কারণে ব্যথা শুরু হয়ে যায়, তখন আর ফিলিংয়ে কাজ হবে না। তাই দাঁতকে সুস্থ রাখতে এবং চিকিৎসা খরচ কমাতে যত দ্রুত সম্ভব ফিলিং করে নেওয়া জরুরি। ফিলিং করা হলে আপনার দাঁত আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: দাঁতে ব্যথা কেন হয়? সারাতে যা করবেন
ফিলিংয়ের ধরন
প্রথমত ফিলিং দুই ধরনের। যথা- অস্থায়ী এবং স্থায়ী।
অস্থায়ী: বড় ছিদ্র (Gross carries) হলে অস্থায়ী ফিলিং দিয়ে ৭ থেকে ১৫ দিন অবজারভেশনে রাখতে হয়। এর ভেতরে যদি কোনো ধরনের ব্যথা এবং শিরশিরানি না হয়, তবে টেকসইয়ের জন্য স্থায়ী ফিলিং করিয়ে নিতে হবে।
স্থায়ী: ছোট ছিদ্র হলে অবস্থা বুঝে একবারেই স্থায়ী ফিলিং করা যায়। স্থায়ী ফিলিং কয়েক ধরনের। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কম্পোজিট বা লাইট কিউর ফিলিং। যা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির মাধ্যমে দাঁতের কালার অনুযায়ী করা হয়ে থাকে। এরপরে আছে গ্লাস আয়নোমার সিমেন্ট (জিআইসি) ফিলিং। যাদের দাঁতে সামান্য শিরশির আছে, তাদের জন্য এ ফিলিং উপযোগী।
এছাড়া এ ফিলিং দাঁতের সঙ্গে ম্যাচ হয়ে যায়। টেকসই আর দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য অ্যামালগাম ফিলিং খুবই কার্যকর। তবে এ ফিলিং মার্কারি আর এলোয়ের মিশ্রণে তৈরি করার কারণে কালার হয় কালচে বা স্টিলের মতো। এছাড়া এতে মার্কারি থাকার কারণে যথেষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। তাই বর্তমানে চিকিৎসকরা এ ফিলিং করাতে রোগীকে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।
মনে রাখতে হবে, আপনার দাঁতে যদি ব্যথা শুরু হয় কিংবা ছিদ্র বড় হয়ে দাঁতের পাল্প বা মজ্জা পর্যন্ত চলে যায়, তাহলে ফিলিং করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আগে রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট করে ফিলিং বা ক্রাউন (ক্যাপ) করতে হবে।
তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার নিকটস্থ অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করে সমস্যা অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করে নিন।
এসইউ/জেআইএম