কৃত্রিমভাবে পাকানো আম খেলে যে সমস্যা দেখা দেয় শরীরে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২১ মে ২০২৩

বাজারে সবে পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আম কৃত্রিমভাবে পাকানো হয় ও অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা কম দামে পাকা আমের নামে কৃত্রিমভাবে পাকানো আম বিক্রি করেন। যা খেয়ে অজান্তে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন অনেক মানুষ।

আমের রং-গন্ধ দেখে অনেকেই তা পাকা মনে করে কেনেন, যদিও তা হতে পারে রাসায়নিযুক্ত। এক্ষেত্রে শরীরের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: আম খাওয়ার পর যে ৫ খাবার খেলে হতে পারে বিপদ

রাসায়নিক দিয়ে পাকা আম খাওয়ার সময় সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা দেখা যায়, তা হলো বমি, ডায়রিয়া, কখনো কখনো রক্তের সঙ্গে ডায়রিয়া, চরম দুর্বলতা, বুকে অ্যাসিডিটির মতো সংবেদন ও মাথাব্যথা।

কিছু ক্ষেত্রে আমে থাকা রাসায়নিক মানবদেহে আক্রমণাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির ত্বকে আলসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে, চোখের ক্ষতি হতে পারে ও গলাতেও সমস্যা অর্থাৎ গিলতে অসুবিধা ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। এছাড়া চোখেও জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: যে কৌশলে পাকা আম কিনলে ঠকবেন না

অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে

রাসায়নিকভাবে পাকা আম খাওয়ার সরাসরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াও, কাশি, ঘা ও শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। আম খাওয়ার পরপরই শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।

হাইপোক্সিয়া

হাইপোক্সিয়া হলো রাসায়নিকভাবে পাকা আম খাওয়ার একটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। হাইপোক্সিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন টিস্যুতে পৌঁছায় না। আর এই অবস্থা তখনই ঘটে যখন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়।

আরও পড়ুন: বেশি আম খেলে যাদের বিপদ হতে পারে

হাইপোক্সিয়ার স্বতন্ত্র কিছু লক্ষণ আছে যেমন- মাথা ঘোরা, ঘুম ঘুম ভাব, স্মৃতিশক্তি কমে যায়ওয়া, পায়ে অসাড়তা, নিম্ন রক্তচাপ ও খিঁচুনি।

আম পাকাতে কোন কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়?

আম পাকাতে সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ইথেফোন (একটি উদ্ভিদ বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রক) আম পাকাতেও ব্যবহৃত হয়। এই রাসায়নিকগুলো অ্যাসিটিলিন তৈরি করে, যা আমকে তার নির্ধারিত সময়ের আগে দ্রুত পাকতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চেনার ৫ উপায়

রাসায়নিকভাবে পাকানো আমের মধ্যে উপস্থিত খনিজ ও পুষ্টিগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। আর আমে আর্সেনিক ও ফসফরাসের মতো বিষাক্ত উপাদান ভরে যায়।

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম চিনে কিনবেন কীভাবে?

>> প্রাকৃতিক আমের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত সুগন্ধ ও স্বাদ আছে, যা তারা গাছ থেকে পায়। কৃত্রিমভাবে পাকা আমের ধারালো স্বাদ থাকে, যা বেশিরভাগ রাসায়নিকের কারণে হয়।

>> এজন্য মৌসুমের আগে কোনো ফল কিনবেন না। ঋতুর আগে বা ঋতু শেষ হওয়ার পরে পাওয়া ফল কিনবেন না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।