চুল ও ত্বকের লোম ঝরে পড়া গুরুতর রোগের লক্ষণ নয় তো?
এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল একটি আঠালো পদার্থ, যা শিরাকে ব্লক করে। এটি বেড়ে গেলে অনেক মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চর্বি ও তৈলাক্ত জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবার কোলেস্টেরল বাড়ায়।
শরীরের প্রতিটি কোষের স্বাভাবিক পরিমাণে কোলেস্টেরল প্রয়োজন। এটি হরমোন, ভিটামিন ও পাচক তরল উৎপাদন করতে সাহায্য করে। তবে স্বাভাবিক মাত্রার ওপরে গেলেই চুল পাল্টাতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: চুল পড়ার যে ৭ কারণ অনেকেরই অজানা
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে পেরিফেরাল ধমনী রোগ হতে পারে। এ রোগে শিরাগুলো সঙ্কুচিত হয় ও পর্যাপ্ত রক্ত পায়ে পৌঁছায় না। এই রোগের শুরুতে, কখনো কখনো পায়ের লোম ঝরে পড়তে দেখা যায়। পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার কারণে লোম ঝরে পড়ে।
জনস হপকিন্সের গবেষকরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন, যেখানে একদল ইঁদুরকে উচ্চ কোলেস্টেরল ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার দেওয়া হয়েছিল। যেখানে একটি দলকে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর খাদ্য দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যে ভুলে কমবয়সেই পাকে চুল
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরকে উচ্চ চর্বি-কোলেস্টেরল খাবার খাওয়ালে চুল অকালে পেকে ও ঝরে যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চর্বি-কোলেস্টেরল খাদ্য খাওয়ানো ইঁদুর ৩৬ সপ্তাহের প্রথম দিকে চুলের তীব্র ক্ষতি অনুভব করতে শুরু করে। গবেষকরা উচ্চ কোলেস্টেরল খাদ্যের কারণে ধূসর চুল বা চুল পড়া পুরুষদের মধ্যেও একই প্যাটার্ন খুঁজে পেয়েছেন।
চুলের গোড়া, চুলের বৃদ্ধি ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য কোষে ভালো কোলেস্টেরল অপরিহার্য। কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণা জার্নাল অব এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড রিপ্রোডাকশনে প্রকাশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: অকালে চুল পাকা, খুশকি সবই দূর করবে এই ফল
ওই গবেষণা বলছে, কোলেস্টেরলের অস্বাভাবিক মাত্রা জৈব সংশ্লেষণকে বাধা দিয়ে ফাইব্রোসিসকে উন্নীত করে। যার কারণে চুলের গোড়া স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চুল পড়া শুরু হয়। ফলে বার্ধক্যের আগেই টাক হয়ে যেতে পারেন যে কেউ।
গবেষণা আরও জানাচ্ছে, কোলেস্টেরলের কারণে চুলের পরিবর্তনগুলো সিক্যাট্রিসিয়াল অ্যালোপেসিয়া হতে পারে। এটি একটি প্রদাহজনিত চুল পড়ার ব্যাধি। যাতে মাথার ত্বকের ভেতরে উপস্থিত চুলের গোড়া সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে যায় ও টাক পড়া শুরু হয়।
সূত্র: নিউজ ডে এক্সপ্রেস/টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম