ডায়াবেটিস-থাইরয়েডের মতো ১২ রোগ বশে আনে ধনেপাতা
প্রতিদিনের রান্না, ভর্তা কিংবা সালাদে ধনেপাতা না থাকলে যেন চলেই না! ধনেপাতা এমনকি আস্ত ধনিয়া শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর আছে ওষুধি গুণও। যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। জানলে অবাক হবেন, এক মুঠো ধনেপাতা শুধু রান্নার স্বাদ নয় বরং ১২ রোগের সমাধান করতে পারে।
এ বিষয়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান, ধনিয়া এমন একটি শক্তিশালী মসলা যা অ্যাসিডিটি, মাইগ্রেন, মাথাব্যথা, রক্তপাত, অত্যধিক তৃষ্ণা, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ফ্যাটি-লিভার, স্থূলতা, বদহজম ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো রোগ প্রতিরোধ ও চিকিত্সা করার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন: যে কারণে অনেকেই টের পান না তারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন
আয়ুর্বেদেও ধনে খাওয়ার অগণিত উপকারের কথা বলা হয়েছে। এই ডাক্তারের মতে, ধনিয়া আয়ুর্বেদিক ডিটক্স হিসেবেও কাজ করে। অর্থাৎ আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরিষ্কার করে এই মসলা।
View this post on Instagram
যদিও সবাই রান্নায় ধনে ব্যবহার করে, তবে আপনি আরও উপকার পেতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। ধনে ব্যবহারের উপকারিতা ও পদ্ধতি জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
ফ্যাটি লিভার-ডায়াবেটিসের জন্য ধনে চা
আপনি যদি ফ্যাটি-লিভার, ডায়াবেটিস ও হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে ধনে চা পান করুন। চায়ের গুণমান ও প্রভাব বাড়াতে মৌরি ও জিরা মিশিয়েও পান করতে পারেন।
থাইরয়েডের জন্য যেভাবে ব্যবহার করবেন
থাইরয়েডের উপসর্গ কমাতে, সারারাত ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ধনে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে গ্লাসের পানি ও ধনিয়া একটি পাত্রে নিয়ে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন।
আরও পড়ুন: মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?
এই পানীয় মেজাজ ও বিপাক উন্নত করে। ধনিয়া সেদ্ধ করার সময় এতে কারি পাতা ও শুকনো গোলাপের পাপড়িও মেশাতে পারেন, তাহলে আরও উপকৃত হবেন।
আপনি যদি থাইরয়েডের রোগী হন, তাহলে আপনার পিল খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরই ধনিয়ার চা পান করুন। ট্যাবলেট নেওয়ার এক ঘণ্টা পর সাধারণ পানি ছাড়া অন্য কিছু পান বা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
রক্তপাত-অম্লতার জন্য
রক্তপাত, অ্যাসিডিটি ও জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ২৫ গ্রাম ধনিয়া হালকা পিষে নিন। একটি পাত্রে পানি নিয়ে সারারাত বা ৮ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। পরের দিন সকালে এটি ফিল্টার করুন ও খালি পেটে খান।
জেএমএস/জেআইএম