যে রঙের পোশাক পরলে গরমেও শরীর থাকে ঠান্ডা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৩

রোদের তাপ দিন দিন বাড়ছে। আবহাওয়া এখন বেশ উত্তপ্ত। তাই গরমে আরামদায়ক পোশাক পরার বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি গরমে কোন রঙের পোশাক বিশেষ উপযোগী তা জানতে হবে।

যদিও এ বিষয়ে তেমন মাথা ঘামান না অনেকেই, ফলে বাইরে বের হলে গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠতে হয়। কিছু রঙের পোশাক পরলে শরীর ঠান্ডা থাকে ও গরমও কম লাগে এমনটিই জানাচ্ছে এক গবেষণা।

আরও পড়ুন: গরমে বগলের ঘাম ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার কৌশল

২০২০ সালের আগস্টে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের গবেষক তোশিয়াকি ইচিনোসের নেতৃত্বে জাপানি বিজ্ঞানীদের একটি দল এ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন, যার ফলাফল জানলে আপনি চমকে উঠবেন।

গবেষক তোশিয়াকি ইচিনোস এই পরীক্ষার জন্য কড়া রোদে ৯টি ম্যানকুইনে লাল থেকে হালকা সবুজ, হলুদ, নীল, কালো, সাদা বা গাঢ় সবুজ’সহ বিভিন্ন রঙের পোলো শার্ট পরান।

তখন বাইরের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। মাত্র ৫ মিনিট ম্যানকুইনগুলোকে রোদে রাখার পর গবেষকরা কাপড়ের উপরিভাগের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন।

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ঘাম কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

সবচেয়ে শীতল ও উষ্ণতম পোলো শার্টের মধ্যে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার্থক্য লক্ষ্য করেন তারা।

অনেকেই হয়তো জানেন, গরমে সাদা রঙের পোশাক পরলে স্বস্তি মেলে। অন্যদিকে কালো রঙ অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে।

গবেষণায় দেখা যায়, সাদা পোলো শার্টের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গবেষণার সময় বাতাসের তাপমাত্রার সমতুল্য।

আরও পড়ুন: ভালোবাসার রং লাল কেন?

অন্যদিকে কালো পোলো শার্টের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট)। গবেষকরা জানান, সাদার পরে যে রংগুলো শরীরকে শীতল রাখে সেগুলো হলুদ, ধূসর ও লাল।

যদিও লাল রংকে বেশিরভাগ মানুষই ‘উষ্ণ’ রং হিসেবেই জানেন। বেগুনি র্যাংকিংয়ের মাঝখানে আছে, তাই এটি গরম আবহাওয়ার সময় পরতে পারেন যদি এটি আপনার প্রিয় রং হয়।

তবে গবেষকরা গরমে নীল, হালকা সবুজ, গাঢ় সবুজ ও কালো রংয়ের পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। এই রংগুলো অধিক তাপমাত্রা শোষণ করে।

সূত্র: লাইফস্টাইল এশিয়া

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।