‘নীরব ঘাতক’ যে ৫ ব্যাধি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে, নতুন অনেক ভাইরাস ও সংক্রমণের কারণে দিন দিন নতুন সব রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। কিছু রোগের এখনও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

কিছু রোগ দ্রুত নিরাময় হয় আবার কিছু সারতে সময় লাগে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এমন কিছু রোগ আছে যা শরীরে বাসা বাঁধে ও আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, তবে তা কেউ টেরই পান না।

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ঘাম কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

রোগ যাই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞরা একমত যে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও এর চিকিৎসা পুনরুদ্ধারকে আরও সহজ করে তোলে। রোগের উপসর্গ জানা গেলে যদিও প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তবে কিছু রোগ আছে যেগুলো শনাক্তে অনেক দেরি হয়ে যায়।

যেসব রোগের উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয় না, তাদের নীরব ঘাতক বলা হয়। দুর্ভাগ্যবশত অনেক দেরি হয়ে গেলেই সেগুলো আবিষ্কৃত হয়। তেমনই কিছু নীরব ঘাতক রোগ ও এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-

উচ্চ রক্তচাপ

এফডিএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপ বা বিপি সবচেয়ে বড় নীরব ঘাতক রোগ। বেশিরভাগ লোকের মধ্যেই এর কোনো লক্ষণ দেখা যায় না প্রাথমিক অবস্থায়। যদি এর চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ হার্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: একনাগাড়ে হাঁচি হলে থামাবেন যেভাবে

উচ্চ কোলেস্টেরল

উচ্চ কোলেস্টেরলকেও নীরব ঘাতক বলা হয়, কারণ এর মাত্রা খুব বেশি না হওয়া পর্যন্ত এটি রোগীদের মধ্যে কোনো উপসর্গ সৃষ্টি করে না।

উচ্চ কোলেস্টেরল ঘটে যখন রক্তে এলডিএল বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নামক চর্বিযুক্ত পদার্থের অত্যধিক পরিমাণে জমা হয়। এটি চর্বিযুক্ত, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপানের মতো বিষাক্ত অভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাবের কারণে ঘটে।

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস ডট অর্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস দেখা দেয় যখন রোগীর রক্তে অত্যধিক গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। এটি তখনই হয়, যখন অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না বা যখন শরীর কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না।

আরও পড়ুন: হার্টের ধমনী ব্লক হয়েছে কি না জানাবে ৪ লক্ষণ

এটি একটি নীরব রোগ। এটিকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয় কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা জানেন না যে, তারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন। রোগটি যখন একটি উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখনই লক্ষণগুলো আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

ফ্যাটি লিভার

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দুই ধরনের হতে পারে- নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস নামেও পরিচিত।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলো এক ধরনের ফ্যাটি লিভার, যা অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, যেখানে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ভারী অ্যালকোহল সেবনের কারণে হয়।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে ভুগছেন কি না বুঝে নিন সকালের ৫ লক্ষণে

ফ্যাটি লিভার রোগ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, আবার এর লক্ষণও তেমন প্রকাশ পায় না। এজন্যই এই ব্যাধিকে নীরব ঘাতক বলা হয়।

নন অ্যালকোহলিক বা অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এক সময় মারাত্মক লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

সূত্র: প্রেসওয়ার১৮

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।