গাছ দিয়ে রান্নাঘর সাজাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

রান্নাঘরটা একটু গোছানো হোক, থাকুক পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন- এমনটি কে না চায়! সৌন্দর্যবর্ধনে ঘরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট রাখেন।

চাইলে রান্নাঘর পরিবেশবান্ধব করতে গাছ রাখতে পারেন। এটি রান্নাঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে আবার স্বাস্থ্যেরও উপকার করবে। ক্ষতিকর গ্যাস গ্রহণ করে গাছ ছাড়বে অক্সিজেন।

ঘরের বাতাসে নানা রকম বিষাক্ত জৈব যৌগ ও গ্যাস থাকে। যেগুলো গাছ শুষে নিতে পারে। রান্না যেমন একটা শিল্প, তেমনই রান্নাঘরটি হতে পারে শৈল্পিক ও পরিবেশবান্ধব।

‘ইংলিশ আইভি’ গাছ রান্নাঘরের দেওয়াল ও বেসিনের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা যায়। এই গাছ বাতাসে ভেসে থাকা দূষিত যৌগ গ্রহণ করে।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীও একটি পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর গাছ। কোথাও কেটে গেলে একটু অ্যালোভেরা লাগালেই সেরে যায়। অসংখ্য গুণে গুনান্বিত এই গাছ।

এতে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই’সহ কত কি। রান্নাঘরে রাখতে পারেন অ্যালোভেরা। এটি রবড় করতে ও বাঁচিয়ে রাখতে তেমন যত্ন করতে হয় না। পরিবেশ যা ই হোক, মানিয়ে নেয় এই গাছ। খাপ খাওয়াতে পারে সব পরিবেশে।

এমনই একটি গাছ স্পাইডার প্ল্যান্ট। রান্নাঘরে পছন্দমতো জায়গায় রাখতে পারেন এটি। ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে মানিপ্ল্যান্ট খুব জনপ্রিয়। এই গাছ যেমন মাটিতে হয় হয়, ঠিক তেমনই শুধু পানিতেও বেড়ে উঠে।

লতা জাতীয় এই গাছ সুন্দর করে সাজানো যায়। ম্যানিপ্ল্যান্ট খুব সহজলভ্য। দামও বেশি নয়। রান্নাঘরে রাখা যায় এমনই একটি গাছ লাকি ব্যাম্বু। ফার্ন জাতীয় এই গাছ বড় হয় কম যত্নেই। যেমন বোস্টন ফার্ন। দেখতে সুন্দর। ঝুলন্ত টবে রান্না ঘরে রাখলে সুন্দর লাগে।

যাদের রান্নাঘরে বড় জানালা আছে। মিষ্টি রোদ এসে পড়ে। তারা অনায়াসেই টবে ফলাতে পারেন ধনেপাতা ও পুদিনা পাতা। জানালার বাইরে ঝুলন্ত টবে টমেটো, বেগুন’সহ অনান্য সবজিও চাষ করতে পারবেন।

র‌্যাক বানিয়ে তাতে ছোট গাছ রাখতে পারেন। র্যাক অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। আবার অর্ডার দিয়েও বানানো যায়। গাছগুলো একটু সতেজ রাখতে গাছগুলো মাঝে মধ্যে রোদে নিয়ে রাখুন।

টেরারিয়াম (কাচের পাত্রে ইকো সিস্টেম করে গাছ লাগানো) রান্নাঘরে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারে। কাচের পাত্র অ্যাকুরিয়ামের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।