পিসিওএসের রোগীরা কেন বেশি প্রোটিনজাতীয় খাবার খাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩

প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওসের সমস্যায় ভুগছেন, এমনটিই জানাচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

হরমোনজনীত এই সমস্যায় সাধারণ নারী থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক অভিনেত্রীরাও ভুগছেন। পিসিওসের সমস্যা দ্রুত নির্ণয়ের পর সঠিক চিকিৎসা নিলে ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা বশে আনা যায়।

সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে খাদ্যতালিকায়। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও কম কার্বহাইড্রেট হলো পিসিওএসে আক্রান্তদের জন্য শুধু জরুরি তা ই নয়, বিপাকজনিত সমস্যা কিংবা ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থাকলেও এই ডায়েট কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

তাই ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আগে খাবারের তালিকায় প্রোটিন যোগ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন।

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে ডিম সবচেয়ে ভালো। জেনে নিন প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন রাখলে কী কী সুবিধা মিলবে-

পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কিছুক্ষণের জন্য পেট ভর্তি থাকে। বারবার খিদের অনুভূতি বা খাওয়ার ইচ্ছেও নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিন। এ কারণে অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার হজম হতেও বেশ সময় লাগে। এর প্রভাবে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পিসিওএস রোগীদের মধ্যে যেহেতু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি, তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে।

হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে

প্রোটিন গ্লুকাগন নামক হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোন শরীরে প্রাকৃতিক ইনসুলিনের কাজ করে। রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে গেলে, তা আবার নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে এই হরমোন।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।