২০২২ সালে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে তথ্য বেশি খোঁজা হয়েছে গুগলে
শারীরিক যে কোনো সমস্যা থেকে শুরু করে কোনো স্থান খুঁজতেও আমরা এখন গুগলের দ্বারস্থ হই। গুগলে খুঁজে পাওয়া যায় না এমন কানো প্রশ্ন হয়তো এখনো নেই!
বছর শেষে প্রতিবারের মতো এবারও গুগলের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ বছর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন কোন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে গুগল অনুসন্ধানে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর কোভিড ১৯ এর টিকাকরণ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক তথ্য জানতে গুগল ইঞ্জিনে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছিল।
তবে এই বছর শীর্ষ স্বাস্থ্য ও সুস্থতার অনুসন্ধানগুলোতে করোনভাইরাস সম্পর্কিত কোনো বিষয়ের উল্লেখ দেখা যায়নি।
এর পরিবর্তে ২০২২ সালে গুগল অনুসন্ধানে সবচেয়ে বেশি জানার চেষ্টা করা হয়েছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে।
কীভাবে শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়া যায় কিংবা কীভাবে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, মনোযোগের ঘাটতি, হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার ও অবসেসিভ ডিজঅর্ডারের মতো সমস্যা মোকাবেলা করা যায় সেই উত্তর খুঁজেছেন বেশিরভাগ মানুষ।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এ বছর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন কোন প্রশ্নের উত্তর বেশি খোঁজা হয়েছে গুগলে-
ওয়ার্কআউট বা শরীচর্চা
২০২২ সালে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে শরীরচর্চা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। যেমন- ওজন কমানোর ওয়ার্কআউট, সাপ্তাহিক ওয়ার্কআউট, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ওয়ার্কআউট, জিমে ওয়ার্কআউট এসবই জনপ্রিয় ছিল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনুসন্ধানে।
আবেগ মোকাবেলা
কীভাবে চাপ সামলাবেন, কীভাবে প্যানিক অ্যাটাক বন্ধ করবেন, কীভাবে বিষণ্নতা কাটাবেন ও এডিএইচডি মোকাবিলায় করণীয় ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর বেশি খোঁজা হয়েছে গুগলে।
এর সঙ্গে মনোযোগ বাড়ানোর উপায়, বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয়েও অনুসন্ধান করা হয়েছে বেশি।
চাপ উপশম বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। যদিও স্ট্রেস হলো একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া, যা কমবেশি সবাই অনুভব করে। তবে অতিরিক্ত চাপ আবার মানসিক ব্যাধির কারণ হতে পারে।
নিউইয়র্ক সিটির নিউইয়র্ক-প্রেসবিটেরিয়ান হাসপাতালের সাইকিয়াট্রির ক্লিনিকাল সহযোগী অধ্যাপক ডা. গেইল সল্টজ বলেছেন, একটি চাপপূর্ণ ঘটনা শেষ হওয়ার পরে অনুভূতিটি চলে যায় কি না তা দেখতে হবে। যদি না যায় তাহলে বুঝবেন আপনি স্ট্রেসে ভুগছেন। স্ট্রেস হতাশা ও অবসেসিভ-বাধ্যতামূলক ব্যাধি।
জার্নালিং, পডকাস্ট ও বই
২০২২ সালে জার্নালিং, পডকাস্ট ও বই নিয়েও সার্চ করা হয়েছে গুগলে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বই, পডকাস্ট ও জার্নালিং কীভাবে কাজ করে তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মনোবিজ্ঞানী, গবেষক ও অধ্যাপক জেমস পেনেবেকার বলেন, অভিব্যক্তিমূলক লেখা মানসিক সুস্থতা রক্ষায় কাজ করে।
একটি খারাপ অভিজ্ঞতা জর্নালিং করার মধ্যমে যেমন মানসিক প্রশান্তি মেলে, ঠিক তেমনই ভালোঘটনা লিখেও আপনি মানসিক শান্তি পেতে পারেন। ঠিক একইভাবে বই পড়াও মানসিক বিকাশ ঘটায়।
সূত্র: সিএনএন
জেএমএস/এমএস