সঙ্গী মিথ্যা বলছেন কি না বুঝে নিন হাবভাবেই

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখা জরুরি। তাই বলে আবার অন্ধ বিশ্বাস করে বসবেন না! তাহলে নিজের পায়ে হয়তো নিজেই কুড়াল মারবেন!

আপনি সঙ্গীর প্রতি যত লয়্যালই থাকুন না কেন, তিনিও যে ততটাই বিশ্বস্ত হবেন তার কিন্তু কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই চোখ-কান খোলা রাখুন।

না হলে আপনি যাকে সবচেয়ে বেশি বেশি বিশ্বাস করে ও ভালোবাসেন তিনিই দিনের পর দিন মিথ্যা বলে আপনার সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন।

তবে সঙ্গী আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলছেন কি না কীভাবে টের পাবেন। এক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ আছে যা দেখলে আপনি টের পেতে পারেন সঙ্গী মিথ্যা বলছেন কি না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সঙ্গীর হাবভাবেই কীভাবে বুনে যে তিনি মিথ্যা বলছেন-

চোখে চোখ রেখে কথা না বললে

আপনার সঙ্গী সত্য কথা বলছেন কি না তা বুঝতে তার চোখের দিকে তাকান। যদি তিনি মিথ্যা বলেন তাহলে চোখে চোখ না রেখে কথা বলবেন।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান বলছে, মিথ্যা বলার সময় অজান্তেই মানুষ অন্যজনের চোখে চোখ রাখতে চান না। যেদি কেউ কারও চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারেন তাহলে এর একটি সম্ভাব্য কারণ হলো তিনি মিথ্যে বলছেন।

কথা এড়িয়ে যাওয়া

ধরুন আপনি সঙ্গীকে কোনো একটা প্রশ্ন করেছেন। তিনি ওই কথা এড়িয়ে গিয়ে বরং আপনার কোনো বিষয় নিয়ে খুঁত ধরতে শুরু করলেন, এই লক্ষণ কিন্তু বলে দেয় সঙ্গী আপনার কাছে কিছু লুকাচ্ছেন।

কথা বলতে না চাওয়া

সঙ্গী আপনাকে মিথ্যা বলছেন কি না তা টের পাওয়ার আরও একটি গুরুতর লক্ষণ হলো কথা বলতে না চাওয়া।
ধরুন আপনি কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন তাকে কিন্তু তিনি ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করলে না কিংবা অনেকক্ষণ পর ভেবেচিন্তে উত্তর দিলেন! এমন হাবভাব কিন্তু বলে দেয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।

এক কথা বারবার বলা

যখন কেউ মিথ্যা বলেন, তখন ওই বিষয়টিই সত্য প্রমাণের জন্য একই কথা বারবার বলেন। এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত সতর্ক হয়ে যান।

কথার উত্তর না দেওয়া

সত্য লুকানোর জন্য মানুষ যখন মিথ্যা বলেন তখন তা সাজানোর জন্য সময়ের দরকার হয়। এজন্য কথার উত্তর এড়িয়ে যেতে পারেন সঙ্গী।

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।