শীতে নিউমোনিয়া প্রতিরোধে যা যা খাবেন
নিউমোনিয়া মূলত ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। বিভিন্ন ভাইরাস, ছত্রাক, জীবাণুজনিত কারণেই এই রোগের বিস্তার ঘটে। নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গুরুতর নিউমোনিয়ার কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই নিউমোনিয়া প্রতিরোধে ও এরই মধ্যে যারা এই কঠিন রোগে ভুগছেন তাদের উচিত দ্রুত সেরে উঠতে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার পাতে রাখা।
বিশেষ করে শীতে বাড়ে নিউমোনিয়া’সহ ঠান্ডার প্রকোপ। কারণ শীতে তাপমাত্রা ওঠানামা, তার জেরে যাওয়া, এছাড়া বাতাসে ধুলা-ময়লা আধিক্য ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বড়ে যায়।
আর সর্দি লাগলে নিউমোনিয়ার প্রকোপও বেড়ে যায়। তাই ঠান্ডা না লাগানোর দিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
প্রচুর পানি পান করুন
নিউমোনিয়া প্রতিরোধে প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে করে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের হয়ে যায়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ।
টাটকা ফলের রস
শীতে ডিহাইড্রেশন এড়াতে পানির পাশাপাশি পান করুন টাটকা ফলের রস। এ সময় যত বেশি তরল পদার্থ শরীরে যাবে, ততই ক্ষতিকারক কণা শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। ফলে শ্বাসযন্ত্রও থাকবে সুস্থ।
প্রোটিন গ্রহণ করুন
নিউমোনিয়া একটি প্রদাহজনিত সমস্যা। এই রোগ প্রতিরোধে পাতে রাখুন প্রদাহবিরোধী খাবার। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে নিউমোনিয়া থেকে দৃত আরোগ্য মেলে।
এজন্য পাতে রাখুন বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিদিনের ডায়েটে বিভিন্ন বীজ ও মুরগির মাংসের মতো প্রোটিন রাখুন।
প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে
সুস্বাস্থ্যের জন্য শীতে মৌসুমি সব শাকসবজি খেতে হবে। পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক’সহ মৌসুমি সব সবজি পাতে রাখুন।
এসবের পুষ্টিগুণ শরীরকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে শক্তি জোগায় এমনকি ফুসফুসসের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
ভিটামিন সি গ্রহণ করুন
শীতে বাজারে মৌসুমি বিভিন্ন ধরনের ফল মেলে, যেগুলোতে ভিটামিন সি ভরপুর থাক। ভিটামিন সি’যুক্ত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এসবের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রভাব শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
এছাড়া আদা খাওয়ার মাধ্যমেও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রভাব মিলবে শরীরে। শরীর হোক বা ত্বক এই উপাদান খুবই জরুরি।
আদার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে। এজন্য নিয়মিত আদা চা বা আদা কুচি খেতে পারেন। এমনকি খাবারে মিশিয়েও খেতে পারেন আদা।
সূত্র: এনডিটিভি
জেএমএস/এএসএম