বাম আঙুলে কেন পরা হয় বিয়ের আংটি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২

বিয়ের আংটি সবার কাছেই মূল্যবান ও পছন্দের। বিয়েতে বা তার আগে বাগদান অনুষ্ঠানে আংটি বদলের রীতি আছে কমবেশি সব দেশেই।

সাধারণত বাম হাতের অনামিকায় বিয়ের আংটি পরানো হয়। তবে এটি কি শুধুই কোনো রীতি, নাকি এর পেছনে আছে কোনো স্বাস্থ্য উপকারিতা?

জানা যায়, প্রাচীন মিশরে বিয়ের আংটি বাম হাতের অনামিকায় পরানোর রীতির উদ্ভব ঘটে।
মেরিজ কাস্টমস অব দ্য ওয়ার্ল্ড জর্জ মঙ্গার্সের মতে, তখনকার মানুষরা বিশ্বাস করতেন বাম হাতের অনামিকায় থাকা একটি শিরা সরাসরি হার্টের সঙ্গে নাকি সংযুক্ত।

এই শিরাকে বলা হত ভেনা আমোরিস (ভালোবাসার শিরা, ভেইন অব লাভ)। এ কারণেই ওই আঙুলে আংটি পরলে হার্ট থাকে সুরক্ষিত। এরপর থেকে এই রীতিই বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়ে যায়।

পাশাপাশি চিনের সংস্কৃতি অনুযায়ীও অনামিকায় বিয়ের আংটি পরার চল আছে। তবে তাদের বিশ্বাস আবার ভিন্ন। চিনা উপকথা অনুযায়ী, প্রত্যেক আঙুলের ভিন্ন ভিন্ন তাৎপর্য আছে।

বুড়ো আঙুল বাবা মায়ের প্রতিনিধিত্ব করে, তর্জনী আত্মীয়স্বজন ও ভাইবোনের। অন্যদিকে মধ্যমা নিজের ও সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করে। আর অনামিকা হলো জীবনসঙ্গীর। এই তত্ত্বের কারণেই চিনে অনামিকায় বিয়ের আংটি পরার প্রচলন ঘটে।

অন্যদিকে ১৬ শতকে বিখ্যাত ডাচ চিকিৎসক লেভিনাস লেমনিয়াস তার বইতে লেখেন, কোনো নারী তার বাম হাতের অনামিকা আঙুলে সোনার আংটি পরলে তার হৃদয়ে এক ধরনের মৃদু আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ফলে তার শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।

১৭ শতকের দিকে ডাচ ফিজিশিয়ান লেমনিয়াস এই যুক্তির সঙ্গে কিছুটা একমত পোষণ করেন। তিনি কয়েকজন নারীর অনামিকা আঙুলে চিমটি দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান করতে সফল হয়েছিলেন।

এরপর তিনি জানান, সত্যিই এই আঙুলের সঙ্গে হৃদয়ের সংযোগ আছে। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়টি প্রমাণ করে। জানা যায়, শুধু অনামিকা নয় বরং প্রতিটি আঙুলের সঙ্গেই হার্টের শিরার সংযোগ আছে।

তবে এখনো অনামিকায় আংটি পরানোর রীতি প্রচলিতই আছে বিশ্বজুড়ে। তবে বিভিন্ন স্থানে আবার অনেকে দুই হাতের যে কোনো আঙুলেই বিয়ের আংটি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

সূত্র: এমএসএন

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।