শীতে খুশকির সমস্যা সমাধান করুন ১০ উপায়ে
শীতে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ত্বকের নানা সমস্যার কারণে মাথার ত্বকে এক ধরনের ফাঙ্গাস দেখা দেয়।
যদি খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হয়, তাহলে সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে হবে। অনেকে খুশকির যন্ত্রণায় বাজারচলতি বিভিন্ন চুলের প্রসাধনী ব্যবহার করেন।
যা চুল ও মাথার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই বুঝেশুনে তবে চুলে প্রসাধনী ব্যবহার করুন। জেনে নিন শীতে খুশকির সমস্যা সমাধানের ১০ উপায়-
১. মাথার ত্বক শুষ্ক হলে খুশকির সমস্যা বাড়ে। যারা চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন কিংবা স্ট্রেটনার ব্যবহার করে তাদের মাথার ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে ওঠে। শীতে হেয়ার ড্রায়রের ব্যবহার সীমিত করুন।
২. ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর চিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাথার ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। এ কারণেও শীতে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চিনির পরিবর্তে গুড় কিংবা মধু ব্যবহার করা।
৩. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়তে হবে। শরীর সুস্থ রাখত ও শরীরের জলীয়ভাব বজায় রাখতে সারাদিন পর্যান্ত পরিমাণে পানি খাওয়া দরকার। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৫ লিটার পানি পান করতে হবে।
৪. খুশকির সমস্যা দূর করতে বায়োটিন ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বায়োটিন এক ধরনের ভিটামিন যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকর।
৫. নিয়মিত খাবারের তালিকায় ভিটামিন বি, জিংক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রাখা দরকার। যা চুলের স্বাস্থ্য সঠিক রাখবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় টাটকা ফল ও সবজি রাখতে হবে।
৬. দিনে বেশ কয়েকবার চুল আঁচড়াতে হবে। এজন্য অবশ্যই ভালো মানের চিরুনি বা হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। চুল আঁচড়ালে চিরুনির ব্যবহার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়।
৭. গোসলের পর চুল মুছতে সুতির তোয়ালে ব্যবহার করুন। ভুলেও ভেজা চুল আঁচড়াবেন না, এতে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
৮. খুশকির সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
৯. খুশকির সমস্যার জন্য ভালো মানের অ্যান্টি ড্যানড্রভ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। য়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শ্য়াম্পু ব্যবহার করুন।
১০. রোদে বের হওয়ার সময় মাথা ঢেকে বের হন। প্রয়োজনে টুপি কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। এতে মাথার ত্বকে ময়লা-জীবাণু প্রবেশ করবে না। এছাড়া ঠান্ডা আবহাওয়া চুলকে আরও রুক্ষ-শুষ্ক করে দেয়।
সূত্র: এবিপি
জেএমএস/এমএস