নারী-পুরুষের শার্টের বোতাম বিপরীত দিকে থাকে কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০২২

পুরুষের শার্টের বোতাম ডানদিকে আর নারীদের বাম দিকে কেন থাকে? এ বিষয়ে কি কখনো ভেবে দেখেছেন? এ বিষয়ে অবশ্য কেউই তেমন নিশ্চিত নন।

তবে অনেক ইতিহাসবিদের ধারণা, পুরুষের শার্টের বোতাম ডানদিকে থাকার কারণ হলো পোশাকে অস্ত্র রাখার ব্যবস্থার মাধ্যমেই এ ঘটনার চল হয়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ইতিহাসবিদ ড. ক্লো চ্যাপিন টাইমের সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে জানান, পুরুষের পোশাকের বোতাম ডান দিকে থাকার এই শৈলী সামরিক বাহিনী থেকে আসতে পারে।

শার্টে বন্দুক লুকানো থাকলে এক্ষেত্রে হাত দ্রুত পৌঁছানো সহজ। বোতামগুলো ডানদিকে থাকলে ডান হাতটি শার্ট বা জ্যাকেটে আরও সহজভাবে ঢুকিয়ে বের করা যায়।

আবার কিছু পণ্ডিত যুক্তি দেন, তরবারি রাখার সঙ্গেও এর সম্পর্ক থাকতে পারে। এ জেন্টলম্যান’স ওয়ারড্রোবের পল কিয়ার্স গার্ডিয়ানকে জানান, বেশিরভাগ মানুষই তলোয়ার সব সময় বাম দিকে পরিধান করেন, যাতে এটি ডান হাতে ধরা যায় সহজেই।’

বেশিরভাগ ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা জানিয়েছেন, পুরুষের শার্টের বোতাম ডানদিকে হওয়ার কারণ হলো অস্ত্র সম্পর্কিত। অর্থাৎ শার্টের বোতাম ডানপাশে হলে অস্ত্র বাম পাশে রাখলে ডান হাত দিয়ে তা সহজেই বের করা যায়।

তাহলে নারীদের পোশাকের বোতাম বাম দিকে কেন?

শার্ট ব্র্যান্ড এলিজাবেথ ও ক্লার্কের প্রতিষ্ঠাতা মেলানি মুরের মতে, ১৩ শতকে যখন বোতাম আবিষ্কৃত হয়েছিল, তখন ধনী নারীদের পোশাক বেশ ভারি হত। বিশেষ করে ওই সময় ধনী নারীরা দাসীর সাহায্য ছাড়া নিজেরা পোশাক পরতে পারতেন না।

সেক্ষেত্রে পোশাকের বোতাম লাগানোর কাজও দাসীরাই সারতেন। এজন্য বাম পাশে বোতাম লাগানো হত, যাতে সেগুলো সহজেই লাগাতে পারেন দাসীরা। তখন থেকেই হয়তো এটি ধারণা প্রচলিত।

আরেকটি তত্ত্ব হলো, বেশিরভাগ নারীই বাম হাতে বাচ্চাদের ধরেন। এক্ষেত্রে যাতে তাদের বুকের দুধ খাওয়ানো সহজ হয় এজনই শার্টের বোতাম বাম দিকে রাখা হয়। যাতে জরুরি মুহূর্তে তারা সহজেই বোতাম খুলতে পারেন।

তবে অতীতের এই ধারণাকে এখন তোয়াক্কা করেন না বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন সংস্থা। এখন নারীদের শার্টের বোতামও ডান দিকে রাখা হয়।

সূত্র: ইনসাইডার/টাইম/গার্ডিয়ান

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।