মলের সঙ্গে রক্ত পড়া হতে পারে যে কঠিন রোগের লক্ষণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০২২

পেটের নানা ধরনের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষ করে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এমনকি মল দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যাতেও ভোগেন অনেকেই।

তবে মল দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যাকে সাধারণভাবে নেওয়া ঠিক নয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা মল দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ পাইলসের সমস্যা। তবে দীর্ঘদিনের এই সমস্যা কোলন ক্যানসারেরও কারণ হতে পারে। তাই এই সমস্যা পুষে রাখা উচিত নয় কারও।

কোলন ক্যানসার কেন হয়?

অন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী কোনো মাংসল অংশের বৃদ্ধি এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি কারণে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মধ্যবয়সী কিংবা বয়স্কদের মধ্যেই এই ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। তবে এখন কমবয়সীরা কোলনের নানা জটিলতা এমনকি ক্যানসারেও ভুগছেন।

তবে এই কঠিন রোগ শনাক্ত করতে যাতে বেশি দেরি না হয়ে যায় সেজন্য আগের থেকেই বেশ কিছু উপসর্গ জেনে রাখা জরুরি। প্রাথমিক অবস্থায় কোলন ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়েও উঠতে পারেন।

কোলন ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?

>> দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য
>> দীর্ঘদিনের ডায়ারিয়া
>> তীব্র পেটে ব্যথা
>> রক্তাল্পতা
>> হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
>> মলত্যাগে যন্ত্রণা বোধ
>> মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া
>> বমি বমি ভাব
>> পেটে অস্বস্তি, গ্যাস কিংবা জ্বালাপোড়া
>> খিদে কমে যাওয়া
>> শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব উপসর্গ দেখলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগীর সুস্থতা মিলবে।

কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে বী করবেন?

>> স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
>> নিয়মিত শরীরচর্চা করা
>> মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ
>> লাল মাংস কম খাওয়া
>> অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা

এর পাশাপাশি ফল-মূল, শাকসবজি, রুটি, ওটস ওমলেট ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। শস্যদানা ও পর্যাপ্ত ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কোলনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়।

সূত্র: মায়োক্লিনিক

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।