কোন বয়সে বিয়ে করলে সুখী হওয়া যায়? জানালো গবেষণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২২

নারী-পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে করা আইনত যেমন অপরাধ, ঠিক তেমনই কমবয়সে বিয়ে করলে তা দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখাও কষ্টকর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প বয়সে বিয়ে করলে সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকেই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারেন না। তবে দেরিতে বিয়ে করলেই মানুষ বেশি সুখী হন।

ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার তথ্য অনুসারে, দেরিতে বিয়ে করলে সাংসারিক জীবন সুখের হয়।

৪০৫ জন কানাডিয়ানের উপর করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেষে কিংবা মধ্য জীবনের প্রথম দিকে বিয়ে করেছেন তাদের চেয়ে যারা আরও পরে বিয়ে করেছেন তারাই বেশি সুখী। এমনকি তারা কম বিষণ্নতায় ভোগেন।

কানাডিয়ান ১৮-৪৩ বছর বয়সীদের উপর দীর্ঘমেয়াদী এই সমীক্ষা সাতবার জরিপের মাধ্যমে করা হয়। অ্যাডমন্টন ট্রানজিশনস স্টাডি থেকে এই ফলাফল পাওয়া যায়।

পারিবারিক বাস্তুসংস্থান গবেষক ম্যাট জনসনের মতে, ‘যারা কমবয়সেই বিয়ে করেন তারা সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ততটা পড়াশুনা করতে পারেন না।’

‘আবার বিয়ের পরপরই বাচ্চা হয় ও সংসার চালাতে গিয়ে তারা এমন ক্যারিয়ারে আটকে যায় যা তারা আশা করেনি কখনো। মধ্যজীবনে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।’

‘অন্যদিকে যারা পরে বিয়ে করেছেন তারা আরও বেশি শিক্ষা ও উচ্চ বেতনের চাকরি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা ব্যক্তিগত জীবনে সুখ বয়ে আনতে পারে।’

এই গবেষক আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের (স্নাতক) ডিগ্রি বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের বেশিরভাগই দেরিতে বিয়ে করেছেন।’

মনোবিজ্ঞানী মরগান পেকও দেরিতে বিয়ের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি পরিপক্ক অবস্থায় বিয়ে করলে সঠিকভাবে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি সঙ্গীকে সময় দেওয়া থেকে শুরু করে দাম্পত্য বোঝাপোড়াও ভালো থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব দম্পতিরা দুজনই পরিপক্ক, তাদের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো থাকে। আর এ কারণে এমন দম্পতিদের মধ্যে ভালোবাসা বেশি ও অশান্তি কম দেখা দেয়। ফলে দাম্পত্য জীবনে সুখী হন তারা।

সূত্র: ইউনিভার্সিটি অব আলবার্ট/ব্রাইট সাইড

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।