পেঁয়াজ খেয়ে ডায়াবেটিস কমাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২২

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখেন কমবেশি সবাই। শুধু তরকারি রান্নাতেই নয়, ভর্তা-ভাজি সব পদেই পেঁয়াজ না হলে চলেই না!

আবার চুলের যত্নেও পেঁয়াজের ভূমিকা অনেক। চুল পড়া বন্ধ করতে এমনকি নতুন চুল গজাতেও পেঁয়াজের বিকল্প নেই!

সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুসারে, পেঁয়াজের নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা ৫০ শতাংশ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা তাদের অগ্ন্যাশয় থেকে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে সক্ষম হয় না।

পেঁয়াজের নির্যাস উচ্চ রক্তে শর্করাকে দৃঢ়ভাবে কমাতে পারে বলে জানা গেছে নতুন এই গবেষণায়। শুধু তাই নয় পেঁয়াজের নির্যাস উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে পারে।

নাইজেরিয়ার আবরাকাতে ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রধান ও অধ্যয়নের লেখক অ্যান্টনি ওজিহ জানান, ‘পেঁয়াজ সস্তা ও সহজলভ্য। এটি একটি পুষ্টির সম্পূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় পেঁয়াজের ব্যবহার বেশ কার্যকরী।’

গবেষকরা ইঁদুরের উপর তত্ত্বটি পরীক্ষা করেছেন। মোট তিন গ্রুপের ইঁদুরের মধ্যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজের নির্যাসের বিভিন্ন ডোজ দেওয়া হয়েছিল।

শরীরের ওজন হিসেবে ডোজগুলো ছিল ২০০ মিলিগ্রাম, ৪০০ মিলিগ্রাম ও ৬০০ মিলিগ্রাম।
গবেষকরা ডায়াবেটিক ও ননডায়াবেটিক ইঁদুরের তিনটি গ্রুপকে ওষুধ ও পেঁয়াজ একসঙ্গে দিয়েছিলেন ও পরবর্তী সময়ে ফলাফল দেখে অবাক বনে যান তারা।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিক ইঁদুরদের মধ্যে, যাদের শরীরের ওজন প্রতি কিলোগ্রামে ৪০০ মিলিগ্রাম ও ৬০০ মিলিগ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা একটি বেসলাইন স্তরের তুলনায় যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ কমেছে।

পেঁয়াজের নির্যাস ডায়াবেটিক ইঁদুরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়েছে, যেখানে ৪০০ মিলিগ্রাম ও ৬০০ মিলিগ্রাম সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পেঁয়াজের নির্যাস ননডায়াবেটিক ইঁদুরদের মধ্যে ওজন বাড়ালেও ডায়াবেটিক ইঁদুরদের মধ্যে বাড়ায়নি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।