ত্বক ও নখের যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

হঠাৎ করেই কারও হৃদযন্ত্র বিকল হয় না। হার্টের বিভিন্ন অসুখ কয়েক মাস কিংবা বছরের পর বছর ধরে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। আসলে হৃদপিণ্ডের ব্যাধি নীরব ঘাতক।

বুকে ব্যথা ও অস্বস্তিভাব ছাড়া তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না হৃদরোগের ক্ষেত্রে। আর বেশিরভাগ মানুষই এমন ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। এতে রোগ আরও গুরুতর আকার ধারণা করে।

এমন বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে ও যত্ন নিলে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পারবেন। হৃদরোগের বেশ কয়েকটি লক্ষণের মধ্যে কিছু প্রকাশ পায় ত্বক ও নখে-

নীল বা বেগুনি রঙের প্যাটার্ন

যদি ত্বকে জালের মতো নীল বা বেগুনি রঙের প্যাটার্ন লক্ষ্য করেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এটিকে কোনো সংক্রমণ বা ফুসকুড়ি বলে ধরে নিয়ে উপেক্ষা করবেন না।

কোলেস্টেরল এমবোলাইজেশন সিন্ড্রোম নামক স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে এ ধরনের জালের মতো প্যাটার্ন দেখা দেয় ত্বকে। যা ধমনী ব্লক হলে ঘটে।

হলুদ ত্বক

ত্বকের হলুদ ভাবও দেখা দেয় হৃদরোগ হলে। এক্ষেত্রে চোখের কোণে ও পায়ের পেছনেও হলদে দাগ দেখা দিতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনকি ঘটে।

ত্বকে মোমের মতো ফুসকুড়ি

ত্বকে মোমের মতো ফুসকুড়ি দেখা দিলেও বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের এ ফুসকুড়ির প্রধান কারণ হতে পারে উচ্চ মাত্রার ট্রাইগ্লিসারাইড।

নখে উঁচু-নিচুভাব

নখের উপরে উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে ফুসফুসসহ হৃদরোগের লক্ষণ। একে মেডিকেল ক্লাবিং নখ নামে পরিচিত। নখের আকৃতিতে এ ধরনের পরিবর্তন কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রার সঙ্গে যুক্ত।

নখে লম্বা লাল দাগ

এছাড়া নখের উপর লম্বালম্বি লাল রেখা বা বেগুনি রেখাও হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। এমন লক্ষণ মোটেও অবহেলা করবেন না।

ব্যথাযুক্ত পিণ্ড

হাতে-পায়ের আঙুলে কোনো ব্যথঅযুক্ত পিণ্ড দেখলে সাবধান হতে হবে। শরীরে অত্যধিক কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ এটি। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়াই মূলত হৃদরোগের অন্যতম কারণ।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।