পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ২২ আগস্ট ২০২২

ডা. রিফাত আল মাজিদ, এমবিবিএস, এমপিএইচ

পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ঘা হওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। পা নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকার কারণে এ সমস্যা বেশি হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ জুতা-মোজা পড়ে থাকার কারণেও এমনটি ঘটতে পারে। মূলত ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের কারণেই এমনটি ঘটে।

শরীরের কোথাও ছত্রাকের সংক্রমণকে মেডিকেলের ভাষায় ‘টিনিয়া’ বলা হয়। আর পায়ে যদি ছত্রাক সংক্রমণ হয় তখন তাকে বলা হয় ‘টিনিয়া পেডিস’। টিনিয়া পেডিস মূলত ‘ট্রাইকোফাইটন রুবরাম’ নামক এক প্রকার ফাঙ্গাসের কারণে হয়।

ট্রাইকোফাইটন পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে মাটিতেও মিশে থাকে। মাটি থেকেই এই ফাঙ্গাস মানুষের পায়ে সংক্রমণ ঘটায়। খালি পায়ে যারা হাঁটেন, তারাই বেশি এই রোগে আক্রান্ত হন।

পায়ের কোথায় বেশি হয়?

মূলত পায়ের আঙুলের কোণায় বেশি হয়, বৃদ্ধাঙ্গুলীর ফাঁকে, পায়ের তালুতে ও পায়ের অন্যান্য আঙুলের উপরিভাগে ও কোণায় এই ঘা হয়। আর্দ্র পরিবেশে থাকলে এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনেকের নখে এই ঘঢ়া হয়।

উপসর্গ কী কী?

আঙুলের কোণায় লালচে হয়ে ক্ষত হয় যায়। প্রচুর চুলকাতে ইচ্ছা হয়। অনেক বেড়ে গেলে ব্যথা হয়। আঙুলের উপরিভাগে হলে তা মোটা হয় যায় ও স্কেলি লেসন দেখা যায়।

শরীরের অন্যান্য অন্যান্য স্থানে যেমন- গোলাকার লেসন হয়। টিনিয়া পেডিসের ক্ষেত্রে সেরকম হয় না, চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে পানি বের হয়ে যেতে পারে ও চিকিৎসা না করালে সেকেন্ডারি ইনফেকশন ডেভেলপ করে।

অনেকে অ্যাকজিমার সঙ্গে একে মিশিয়ে ফেলেন। অ্যাকজিমা অধিকাংশ সময় দু’পায়েই হয়। ফাঙ্গাল ইনফেকশন একটু ব্যতিক্রম।

আবার অনেকের ক্ষেত্রে কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হবার পরে সেইখানে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। আঙুলের ফাঁকে হলে তাকে ইন্টার ডিজিটাল টিনিয়া পেডিস বলে।

প্রতিরোধে করণীয়

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অবশ্যই খালি পায়ে হাঁটবেন না। গ্রামের মানুষকে জুতা পরে হাঁটার ক্ষেত্রে সচেতন করতে হবে। একবার টিনিয়া পেডিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখক: জনস্বাস্থ্য গবেষক ও চিকিৎসক; ক্লিনিক্যাল স্টাফ, র্যামফিট মেডিকেল কনসাল্টেশন সেন্টার।

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।