বুকে ব্যথা-ডায়রিয়াসহ যেসব লক্ষণ দেখা দিচ্ছে নতুন করোনা রোগীদের

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ২২ আগস্ট ২০২২

করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ও এর কিছু সাব ভেরিয়েন্ট বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা এখন সাধারণত রিপোর্ট করা উপসর্গগুলো ছাড়াও লক্ষ্য করেছেনবেশ কিছু রোগী ডায়রিয়া, কম প্রস্রাব, বুকে ব্যথাসহ অনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষণে ভুগছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো এই বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির লক্ষণ হতে পারে।

ভারতের অক্ষয় আকাশ হেলথকেয়ারের সিনিয়র কনসালটেন্ট বুধরাজা জানান, ‘কোভিড পজিটিভ রোগীদের মধ্যে তীব্র করোনারি সিনড্রোম, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (হার্ট অ্যাটাক) এর সংখ্যা বাড়ছে। এমন রোগী আছে যারা বুকে ব্যথা, প্রস্রাবের আউটপুট কমে যাওয়া, ডায়রিয়ার মতো অনির্দিষ্ট লক্ষণে ভুগছেন।’

অন্যান্য বর্তমান কোভিড উপসর্গ কী কী?

>> অস্থিরতা
>> চরম দুর্বলতা
>> গন্ধ ও স্বাদ না পাওয়া
>> জ্বর বা ঠান্ডা লাগা
>> কাশি
>> শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
>> ক্লান্তি
>> পেশি বা শরীরে ব্যথা
>> মাথাব্যথা
>> গলা ব্যথা
>> সর্দি
>> বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

নতুন ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএ২.৭৫ কতটা গুরুতর?

বিশেষজ্ঞরা প্রথমদিকেই জানান, এই সাব ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, বিএ২.৭৫ সাব ভেরিয়েন্ট এমনভাবে পরিবর্তিত হয়েছে যা ‘প্রধান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ নির্দেশ করতে পারে।

এই নতুন উপ-ভেরিয়েন্ট এমন লোকেদের সংক্রামিত করতে পারে যাদের ইতিমধ্যে পূর্বের টিকা থেকে অ্যান্টিবডি আছে।

তবে ভালো খবর হলো, দ্রুত ছড়ালেও ওমিক্রনের এই উপ ধরন ততটা গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ করে না। চিকিৎসকরা আরও উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ রোগীই এক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

বাড়িতে কোভিড চিকিত্সার ক্ষেত্রে যা করণীয়

>> একটি ভালো বায়ুচলাচল করে এমন ঘরে থাকুন।
>> বিশ্রাম নিন ও হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর তরল পান করুন।
>> সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন আপনার হাত ধুয়ে নিন।
>> ব্যক্তিগত কোনো জিনিস বাড়ির অন্য লোকেদের সাথে শেয়ার করবেন না।
>> প্রতিদিন আপনার তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করুন।
>> কোনো লক্ষণ খারাপ হলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

করোনা থেকে বাঁচতে এ সময় করণীয়

>> অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন, এমনকি তারা অসুস্থ না হলেও।
>> পাবলিক স্পেসে মাস্ক পরুন, বিশেষ করে যখন শারীরিক দূরত্ব সম্ভব না হয়।
>> সম্ভব হলে জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন।
>> ঘরের ভেতরে থাকলে জানালা খুলে রাখুন।
>> সাবান-পানি বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার করুন।
>> সময়মতো টিকা নিন।
>> অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকুন ও অন্যদের সংস্পর্শে আসবেন না।
>> যদি কোনো গুরুতর উপসর্গ অনুভব করেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।