ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে কিডনিতে পাথর জমছে কি না বুঝবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ০৩ আগস্ট ২০২২

ইউরিক অ্যাসিড সবার শরীরেই তৈরি হয়। তবে এর মাত্রা বেড়ে গেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বাড়ে বিপাকজনিত কারণে। এই অ্যাসিড তৈরি হওয়ার পেছনে আছে পিউরিন।

কিছু খাবারে পিউরিন বেশি মাত্রায় থাকে। এই পিউরিন দেহে প্রবেশ করে প্রোটিনের মাধ্য়মে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয় এই অ্যাসিড।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরিয়ে যায় কিডনির মাধ্যমে। তবে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের হতে না পারায় তা জমে যায় কিডনিতে।

এক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড কিডনি স্টোন হিসেবে জমে। ইউরিক অ্যাসিডের সাধারণ মাত্রা নারীদের শরীরে ৬.৫ এর নীচে ও পুরুষের শরীরে ৭ এর নীচে। এর বেশি হলেই বিপদ।

ইউরিক অ্যাসিড কিডনি স্টোনের ক্ষেত্রে বালুর মতো ক্ষুদ্র স্টোন তৈরি হয় প্রথমে। তারপর তা আকারে বড় হতে থাকে। বেশি বেমি পানি খেলে মূত্রের মাধ্যমেই ছোট পাথরগুলো বেরিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে মূত্রত্যাগ করার সময় ব্যথা হয়।

তবে কিডনিতে স্টোন বড় হয়ে গেলে পিঠের দিকে ব্যথা হয়। যা সহ্য করা কঠিন। অনেকের আবার তলপেটেও যন্ত্রণা হতে পারে। এছাড়া স্টোনের জন্য মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হয় অনেক সময়। এর পাশাপাশি জ্বর, বমি বমি ভাব, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দিতে পারে কিডনিতে পাথর জমলে।

এসব লক্ষণ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক প্রথমেই ইউএসজি পরীক্ষা করতে দেবেন। এই টেস্টে করতে হয় কিডনি, ইউরেটাস ও ব্লাডারের।

বিশেষজ্ঞরা জানান, স্টোন যদি ০.৭ সেন্টিমিটার আকারের ছোট হয় তবে ওষুধের মাধ্যমে বের করে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে ওষুধটি মূত্রনালি বড় করে দেয়। ফলে মূত্রত্যাগের সময় স্টোন বেরিয়ে যেতে পারে। আর যদি স্টোনের আকার বড় হলে অপারেশন করা হয়।

সূত্র: কিডনি.অর্গ

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।