বর্ষায় চুলের খুশকি ও খসখসে ভাব দূর করবেন যেভাবে
বর্ষা উপভোগ্য হলেও এ সময় শারীরিক নানা সমস্যা বেড়ে যায়। তার মধ্যে ত্বক ও চুলের সমস্যাও অন্যতম। বিশেষ করে আবহাওয়ার তারতম্য চুলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ কারণে বর্ষায় বাড়ে চুলে খুশকির সমস্যা। এছাড়া চুল হয়ে পড়ে আরও রুক্ষ্ম ও শুষ্ক।
তাই বর্ষাকালে চুলের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। বর্ষাকালে কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে অক্সিগ্লো কসমেটিকস প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও ও এমডি রচিত গুপ্ত জানান, এ সময় চুলের নিয়মিত ক্লিনজিং ও কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি সিরাম ব্যবহার করা জরুরি।
এছাড়া চুলে নিয়মিত প্রোটিনপ্যাক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি চুলের যত্নে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। জেনে নিন করণীয়-
>> বৃষ্টির পানি থেকে চুলকে রক্ষা করুন। বৃষ্টির পানির সঙ্গে দূষণ ও বিষাক্ত পদার্থ থাকে, তা চুলে ও ত্বকের সংস্পর্শে এলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুল বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত পরিষ্কার করুন।
>> বৃষ্টির পানি, ঘাম, দূষণ ও ময়লা থেকে চুলকে রক্ষায় নিয়মিত তা পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য ভালো মানের প্রাকৃতিক উপাদান ভিত্তিক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
এক্ষেত্রে প্রোটিন ও কেরাটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন। এগুলো চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি এর ক্ষতিও কমাবে।
>> চুলেরও নিয়মিত পুষ্টির প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে বর্ষাকালে। চুলের পুষ্টি নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হলো সপ্তাহে অন্তত দুবার ভালো মানের তেলের ব্যবহার।
এক্ষেত্রে অর্গান অয়েল, আমলা শিকাকাই হেয়ার টনিক, ব্রিংরাজ রেগ্রোথ হেয়ার অয়েল বা রেড অনিয়ন হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন।
সঠিক চুলের তেল ব্যবহারে চুল পড়া কমায়। চুলে তেল সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন বা দু’ঘণ্টা রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
>> চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কন্ডিশনিং জরুরি। সব ধরনের চুলের জন্যই কন্ডিশনিং আবশ্যক। নিয়মিত কন্ডিশনিং ছাড়াও মাঝে মাঝে ডিপ কন্ডিশনিংও জরুরি। একটি হেয়ার মাস্ক বা ক্রিম চুলকে আর্দ্রতা দেয়, যা চুলকে ঝলমলে, নরম ও পুনরুজ্জীবিত করে।
>> চুলকে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে বাঁচাতে একটি ভালো মানের হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। এটি চুলে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, চুলের তৈলাক্তভাব কমায় ও বায়ু দূষণের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকেও চুলকে রক্ষা করে সিরাম।
জেএমএস/এএসএম