শিশুর জ্বর-সর্দি-কাশির লক্ষণ ‘টমেটো ফ্লু’ নয় তো?
একদিকে করোনার চতুর্থ ঢেউ অন্যদিকে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বাড়ছে। এরই মধ্যে আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টমেটো ফ্লু। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে এই ফ্লু। এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে টমেটো ফ্লুতে।
এর লক্ষণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর, গায়ে হাত-পা ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণের মতো একাধিক উপসর্গের কথা। টমেটো ফ্লুর জন্য দায়ী ভাইরাস শিশুর শরীরে প্রবেশ করলে তা গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ সময় শিশুর জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা মোটেও স্বাভাবিকভাবে নেবে না। কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন-
টমেটো ফিভার বা টমেটো ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে শিশুদের জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া কিংবা কাশির সমস্যা দেখলে সতর্ক হন ও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
টমেটো ফ্লুর আরও উপসর্গের মধ্যে আছে- শিশুর খেতে অনীয়হা, বমি বমি ভাব কিংবা বমি। এছাড়া পেট ব্যথাও হয় এই ফ্লু শরীর বাসা বাঁধলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে প্রথম ৩দিন থেকে উপসর্গ দেখা যায়।
জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয় টমেটো ফিভারের কারণে। শিশুর যদি পেটের সমস্যা হয় কিংবা তার সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে বিষয়টি উপেক্ষা করবেন না। করোনা কিংবা মাঙ্কি পক্সের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা হতে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টমেটো ফ্লুর ক্ষেত্রেও ত্বকে ফুসকুড়ি বা ফোসকা হয়। যদি শিশুর ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি, ছাল ওঠা কিংবা চুলকানিভাব দেখেন তাহলে ফেলে রাখবেন না। কারণ এসব হতে পারে টমেটো ফ্লুর লক্ষণ।
টমেটো ফ্লু মাঙ্কিপক্স কিংবা করোনার মতো ভয়ংকর কি না তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ততটা ভয়ংকর নয়। তবে সঠিক চিকিৎসার আওতায় নিতে হবে রোগীকে। না হলে বিপদ হতে পারে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। আর ভাইরাস এ সুযোগেই শিশু শরীরে তাণ্ব চালায়।
এমন রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ান। সঙ্গে শিশুকে প্রচুর পানি পান বরান। শিশুকে আলাদা রাখুন। পাশাপাশি পরিবারের সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে।
জেএমএস/এএসএম