জ্বরের সঙ্গে কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা ওমিক্রনের লক্ষণ নয় তো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ২১ জুলাই ২০২২

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ৪-৫ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রন ভেরিয়েন্টকে ‘উদ্বেগের ভেরিয়েন্ট’ হিসেবে সতর্ক করে সবাইকে। এর অর্থ ছিল, সার্স কোভ-২ স্ট্রেনটি অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য ও উচ্চ মৃত্যুর হারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানতে পারেন, ডেল্টাসহ পূর্ববর্তী কোভিড-১৯ এর রূপের তুলনায় অনেক হালকা ছিল ওমিক্রন। এরপর থেকে এখনো বিশ্বের স্থানেই বিভিন্ন সাব ভ্যারিয়েন্টে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওমিক্রন।

সম্প্রতি ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বিএ৪ ও বিএ৫কে প্রভাবশালী হিসাবে ঘোষণা করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ওমিক্রনের আরও এক নতুন সাব ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যার নাম বিএ২.৭৫। এর ডাকনাম সেনচুরাস। ভারতেই এই ভ্যারিয়েন্ট মে মাসে সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল।

এ সময় ওমিক্রনের বিভিন্ন সাব ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে সেব লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে- জো কোভিড সিম্পটম স্টাডি অনুসারে, কোভিডের ওমিক্রন সব ভেরিয়েন্টের শীর্ষ ২০ উপসর্গের মধ্যে কোমর ব্যথা অন্যতম।

উপসর্গ অধ্যয়ন অ্যাপের প্রধান অধ্যাপক টিম স্পেক্টর দাবি করেছেন, ওমিক্রন সংক্রমণে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন অন্তত পিঠে ব্যথায় ভুগছেন।

ভ্যাকসিন ওয়ার্কের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম যখন ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় তখন জানা যায়, বেশিরভাগ রোগীই গলা ব্যাথা, নাক বন্ধ হওয়া, কাশি, পেশী ব্যথা ও পিঠে ব্যথায় ভুগছিলেন।’

‘এই পিঠের ব্যথাকে কেউ কেউ তীব্র পিরিয়ড ক্র্যাম্প, কিডনিতে পাথর বা পেশীর খিঁচুনি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’ স্বাস্থ্য সংস্থা ব্যাখ্যা করে।

তবে পিঠে ব্যথা হওয়ার মানে কি আপনার কোভিড আছে? আসলে কোভিড ১৯ ছাড়াও পিঠে ব্যথার আরও নানা কারণ থাকতে পারে।

মায়ো ক্লিনিকের তথ্যমতে, পেশী ও লিগামেন্টের স্ট্রেন, ফুলে যাওয়া বা ফেটে যাওয়া ডিস্ক, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, বয়স, নিষ্ক্রিয়তা, স্থূলতা, ওজনের অনুপযুক্ত উত্তোলনের মতো অন্যান্য কারণগুলোও পিঠে ব্যথার সঙ্গে সংযুক্ত।

তাহলে কীভাবে বুঝবেন আপনার পিঠে ব্যথা ওমিক্রনের লক্ষণ কি না?

বিশেষজ্ঞরা গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর, সর্দি, হাঁচি, ক্লান্তি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্টের উপসর্গগুলোর মতো অন্যান্য গল্পের লক্ষণগুলোর জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

ওমিক্রন সংক্রমণে তেমন গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায় না। তবে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কম অক্সিজেন মাত্রা ও অন্যান্য গুরুতর জটিলতা অনুভব করলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো উচিত।

সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই মাস্ক পরুন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। বুস্টা টিকা না দিলে দ্রুত তা নেওয়ার চেষ্টা করুন।

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।