ফ্রিজ কেনার আগে যে ৮ বিষয় জানা জরুরি
কোরবানি ঈদের আগে ফ্রিজ কেনার ধুম পড়ে যায়। ঈদ উপলক্ষ্যে এ সময় বিভিন্ন ছাড় ও মূল্যহ্রাস দেওয়া হয়। কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ কিনতে চান সবাই।
তবে ফ্রিজের বিষয়ে বিশেষ কিছু তথ্য না জেনেই অনেক ঝোঁকের বশে মূলবান এই পণ্য কিনে ফেলেন ও পরে আফসোস করেন।
তাই সাধ্যের মধ্যে ভালো ফ্রিজ কেনার জন্য কিছু বিষয় জানা জরুরি। ফ্রিজের গুণগত মান এর বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে।
এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকলে আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের ফ্রিজ কিনতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ফ্রিজ কেনার আগে কী কী জানা জরুরি-
>> প্রথমেই জানতে হবে, যে ফ্রিজটি কিনতে চাচ্ছেন সেটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কি না। এ ধরনের ফ্রিজ ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কম আসে।
আবার এমন ফ্রিজ পরিবেশবান্ধবও বটে। ফ্রিজের গায়ে কোথা স্টার মার্ক দেওয়া আছে কি না তা লক্ষ্য করুন। এই চিহ্ন থাকলেই বুঝতে হবে সেটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
>> ফ্রিজটির কনডেন্সার কিসের তৈরি তা অবশ্যই জেনে নেবেন। কপার কনডেন্সারযুক্ত ফ্রিজ পেলে সেটি কিনুন। এ ধরনের ফ্রিজের কম্প্রেসারের সঙ্গে তামার তৈরি কুলিং সিস্টেম পাইপ থাকে।
যেগুলো ফ্রিজের পেছনে ও বডির ভেতরে থাকে। কপার কনডেন্সরযুক্ত ফ্রিজ বেশি টেকশই ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়। ফলে ফ্রিজের গ্যাস লিকেজ হয় না, মরিচা পড়ে না, ক্যাপেলরি জ্যাম হয় না। আবার তাড়াতাড়ি ঠান্ডাও হয়।
>> ফ্রিজের কম্প্রোসারই হলো প্রধান ইঞ্জিন। এর উপরই নির্ভর করে সেটি কতদিন টিকবে। মনে রাখবেন, ফ্রিজের কম্প্রোসার খারাপ হলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। তাই কেনার আগে ফ্রিজের কমপ্রেসার কতটা উন্নত তা যাচাই করে নিন।
>> ফ্রিজ বড় হলেই যে ভালো, তা কিন্তু নয়। আপনার ঠিক কোন মাপের ফ্রিজ প্রয়োজন সে অনুযায়ী কিনুন। বড় আকারের ফ্রিজ কিনলে তা মোটেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় না।
>> বর্তমানে বাজারে স্মার্ট ফ্রিজের চাহিদা বেশি। এতে বিভিন্ন ইনভার্টার প্রযুক্তি থাকে। এতে পাঁচটি মোড কাজ করে। একটিতে ওপরে ডিপ আর নিচে সাধারণ ফ্রিজ থাকে। নতুন এই প্রযুক্তির যন্ত্রে ডিপ ফ্রিজকে রূপান্তর করে পুরোটাই সাধারণ ফ্রিজ করে ফেলা যায়।
স্মার্ট ফ্রিজ ব্যবহারের অনেক সুবিধা আছে। যেমন- কেউ ঘরের বাইরে গেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এনার্জি সেভিং মোড চালু করে রাখতে পারেন।
>> ফ্রিজ কেনার আগে সেটি ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট তা জেনে বুঝে তবেই কিনুন। যেসব ফ্রিজের ভেতরে রাখা সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে যায় তাকে ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। অন্যদিকে যে ফ্রিজের ভিতরে ও সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে না তাকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে।
নন ফ্রস্ট ফ্রিজে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয় ও কারেন্ট চলে গেলে খাবার ২-৩ ঘণ্টার বেশি থাকে না। অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকলেও খাবার কয়েক ঘণ্টা ভালো রাখে ফ্রস্ট ফ্রিজ। এই ধরনের ফ্রিজগুলো অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
>> ন্যানা হেলথক্যোর টেকনোলজির ফ্রিজ কিনবেন অবশ্যই। এ ধরনের ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করলে তা স্বাস্থ্যসম্মত ধাকে। এই তথ্য ফ্রিজের গায়ে যুক্ত স্টিকার লেখা দেখে কিনতে পারবেন।
>> রেফ্রিজারেটর কেনার আগে বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কেও জেনে নিন। ওয়ারেন্টি ও গ্যারান্টির বিষয়টা বুঝে নিন। বর্তমানে অনেকেই কিস্তিতে বা ইনস্টলমেন্টে ফ্রিজ কেনেন। সেক্ষেত্রে সব তথ্য ভালোভাবে জেনে বুঝে তবেই ফ্রিজ কিনুন।
জেএমএস/জেআইএম