হৃদরোগের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বক ও নখে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ২৪ জুন ২০২২

হৃদরোগ এমন কোনো ব্যাধি নয়, যা হঠাৎ করেই শরীরে ঘটে। হার্টের বিভিন্ন অসুখ মাসে কিংবা বছরের পর বছর ধরে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। আসলে হৃদপিণ্ডের ব্যাধি নীরব ঘাতক।

আসলে এমন অনেক লক্ষণই শরীরে প্রকাশ পায়, যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তবে অনেকেই বিষয়গুলোকে অবহেলা করেন। এতে রোগ আরও গুরুতর আকার ধারণা করে।

jagonews24

এমন বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে ও যত্ন নিলে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

হৃদরোগের কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পায় ত্বক ও নখে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোনো কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি হৃদরোগে ভুগছেন-

>> আপনি যদি ত্বকে জালের মতো নীল বা বেগুনি রঙের প্যাটার্ন লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এটিকে কোনো সংক্রমণ বা ফুসকুড়ি বলে ধরে নিয়ে উপেক্ষা করবেন না।

jagonews24

কোলেস্টেরল এমবোলাইজেশন সিন্ড্রোম নামক স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে এ ধরনের জালের মতো প্যাটার্ন দেখা দেয় ত্বকে। যা ধমনী ব্লক হলে ঘটে।

>> ত্বকে হলদে দাগও দেখা দেয় হৃদরোগ হলে। এক্ষেত্রে চোখের কোণে ও পায়ের পেছনেও হলদে দাগ দেখা দিতে পারে। এই অবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।

jagonews24

>> ত্বকে মোমের মতো ফুসকুড়ি দেখা দিলেও বুঝতে হবে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের এ ফুসকুড়ির প্রধান কারণ হতে পারে উচ্চ মাত্রার ট্রাইগ্লিসারাইড।

>> নখের উপরে উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়া হতে পারে ফুসফুসসহ হৃদরোগের লক্ষণ। একে মেডিকেল ক্লাবিং নখ নামে পরিচিত। নখের আকৃতিতে এ ধরনের পরিবর্তন কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রার সঙ্গে যুক্ত।

jagonews24

>> এছাড়া নখের উপর লম্বালম্বি লাল রেখা বা বেগুনি রেখাও হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। এ বিষয়টি মোটেও হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এ সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

>> হাতে-পায়ের আঙলে বেদনাদায়ক পিণ্ড দেখলেও সাবধান হতে হবে। শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ এটি। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্টের বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকিও বাড়ে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।