ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন নিলে যে ভুলগুলো করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ১২ জুন ২০২২

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেরই ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। ডায়েট, ব্যায়াম ও ওষুধের নিয়ম মানার পরও যখন আর অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত ইনসুলিন বের হয় না, তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন দিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হয়।

বিশেষ করে টাইপ ১ ডায়াবিটিসে যারা ভোগেন তাদের শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না বলে প্রথম থেকেই ইনসুলিন নিতে হয়। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশেরও বেশি ভোগেন টাইপ ২ ডায়াবেটিসে।

বিভিন্ন ওষুধেও যখন নিয়ন্ত্রণে থাকে না রক্তের শর্করার মাত্রা, তখনই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন ইনসুলিন নেওয়ার। তবে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই ইনসুলিন নিয়ে নানা ধারণা আছে।

অনেকেই ভাবেন, ইনসুলিন নেওয়া মানেই ডায়াটেটিস খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। আবার কারও কারও ভয় হয় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে। ইনসুলিন সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা আছে যা এড়িয়ে চলা উচিত ডায়াবেটিস রোগীদের-

>> ইনসুলিন শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। বরং প্রয়োজনের খাতিরে ইনসুলিন না নিলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি হৃদযন্ত্র, কিডনি এমনকি শরীরের সব প্রত্যঙ্গেই খারাপ প্রভাব পড়ে।

>> অনেকেরই ধারণা আছে, ইনসুলিন নিলে আবার খাবার নিয়ন্ত্রণের কী দরকার! এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কারণ ইনসুলিনে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে ঠিকই কিন্তু খাবারে রাশ না টানলে সেই মাত্রা আবারও বেড়ে যেতে পারে। তাই ইনসুলিন নিলেও খাবার মেপে খেতে হবে।

>> আবার ইনসুলিন নিলে শরীরচর্চাও বন্ধ করা উচিত নয়। অনেক সময়ে পর্যাপ্ত ইনসুলিন নেওয়া সত্ত্বেও রক্তে শর্করার মাত্রা কমে না। অর্থাৎ ইনসুলিন রেজিস্টেন্স হয়। তবে ব্যায়াম করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।

>> ইনসুলিন সংরক্ষণের বিষয়েও নানা ধারণা আছে! মনে রাখবেন, সব সময় ফ্রিজে রাখতে হবে ইনসুলিন। ১২-১৪ ঘণ্টার বেশি ইনসুলিন ফ্রিজের বাইরে রাখলে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। ইনসুলিন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবার সূচ বদলাতে হবে। না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।