কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চেনার ৫ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০৯ মে ২০২২

বাজারে এখন কাঁচা আমের পাশাপাশি পাকা আমও উঠতে শুরু করেছে। তবে পাকা আম বাজারে ওঠার সময় এখনো হয়নি। তার মানে বাজারে এখন যেসব আম পাওয়া যাচ্ছে তার কৃত্রিমভাবে পাকানো। অর্থাৎ বেশি দামে বিক্রির জন্য কৃত্রিমভাবে পাকানো হচ্ছে আম।

তবে এমন আম খেলে ক্যানসার পর্যন্তও হতে পারে। এর কারণ হলো আম কৃত্রিমভাবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড নামক রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো হয়। যা একটি কার্সিনোজেন (ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ)।

সব ধরনের ফল পাকার নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে। ওই সময়ের আগে বেশি লাভে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল পাকান। ইথানল হলো ফল পাকানোর প্রধান রাসায়নিক। যদিও কৃষকরা ফল পাকার আগেই তা গাছ থেকে সংগ্রহ করেন, নিরাপদ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য।

ফল বিক্রেতারা কাঁচা অবস্থাতেই ফল কেনেন ও পরে তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করেন। তবে এ সময়ের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ীরা আবার রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে ফল পাকান। ঠিক একইভাবে সময়ের আগে আমও পাকানো হয়।

অনেক সময় আসল পাকা আমের চেয়ে ফরমালিনে পাকানো আম দেখতে আরও আকর্ষণীয় হয়। আর বেশিরভাগ মানুষই আকর্ষণীয় আমগুলোই কেনেন।

তবে সামান্য মাথা খাটালেই কিন্তু কৃত্রিমভাবে পাকা ও আসল পাকা আমের মধ্যে পার্থক্য টের পাবেন। জেনে নিন কৌশল-

>> কৃত্রিমভাবে পাকা আমের গায়ে সবুজ ছোপ থাকে। এই প্যাচগুলো হলুদ থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা যায়।

অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের গায়ে হলুদ ও সবুজ রঙের সমান মিশেল থাকে। প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের চেয়ে আবার কৃত্রিমভাবে পাকা আম বেশি উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়।

>> কৃত্রিমভাবে পাকা আম খাওয়ার সময় মুখে হালকা জ্বালা অনুভব হয়। এমন আম খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি গলায় জ্বালাপোড়ার মতো গুরুতর প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

>> আপনি যখন প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটবেন তখন দেখবেন আমের পাল্পের রং উজ্জ্বল লাল-হলুদ। তবে কৃত্রিমভাবে পাকা আমের ক্ষেত্রে এটি হালকা ও গাঢ় হলুদ।

এমন রং বলে দেয় যে সেটি পুরোপুরিভাবে পাকেনি। এসন আম বাইরে থেকে পুরোপুরি পাকা মনে হবে কিন্তু ভেতরে কাঁচাভাব থাকে।

>> প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম অনেক রসালো ও মিষ্টি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে কৃত্রিমভাবে পাকা আমের ক্ষেত্রে রস ও মিষ্টিভাব দুটোই কম থাকে।

>> বিশেষজ্ঞদের মতে, আমের মৌসুমে যখন প্রচুর পরিমাণে পাকা আম পাওয়া যায় তখন প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম সহজেই পাওয়া যায়। তাই যে মৌসুমের ফল তখনই খাওয়া উচিত।

কৃত্রিমভাবে পাকা আম খেলে কী হয়?

শরণ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ডা. নন্দিতা শাহের মতে, রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে পাকানো আম খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েড, পিসিওএস, ডায়াবেটিস ইত্যাদির মতো হরমোনজনিত রোগের সংখ্যা বাড়ায় সেসব রাসায়নিক। এমনকি পারকিনসন ও ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়।

সঠিকভাবে ধুয়ে বা বাইরের চামড়া ফেলে দিলে কী রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্তি মেলে? এ বিষয়ে ডা. শাহ জানান, যে কোনো ফল কেনার পর তা ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আমের ক্ষেত্রে অবশ্যই খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে। তবে আম খাওয়ার সময় মুখে জ্বলুনি অনুভব করলে তা খাবেন না। আর অবশ্যই সঠিক মৌসুমেই আম খান।

সূত্র: হেলথসাইটডটকম

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।