গরমে ফাংগাল ইনফেকশন থেকে বাঁচতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৩ পিএম, ০৮ মে ২০২২

গরমে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। প্রচণ্ড রোদের তাপের কারণে অতিরিক্ত ঘাম। এই ঘামের সঙ্গে আবার ধুলাবালি জমে চুলকানি কিংবা ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়। গরমে এ সমস্যা খুবই স্বাভাবিক।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে ফাংগাল ইনফেকশন মারাত্মকভাবে বাড়তে পারে। ঘামের জামা পরে থাকার কারণে এ সমস্যা আরও বাড়ে।

বিশেষ করে যারা খেলোয়াড় কিংবা বাইরে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন তাদের পায়ে দাদ, নখে ছত্রাক, ত্বকে ফুসকুড়ি কিংবা গোপনাঙ্গে সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। ডার্মাটফাইট কিংবা টিনিয়া পেডিস এখন উদ্বেগের কারণ!

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের যেসব স্থানে সহজেই ঘাম জমে যেমন- পায়ের ভাঁজ কিংবা বগলে ফাংগাল সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এর থেকে চুলকানি, লালভাব ও ফোলাভাবের সৃষ্টি হয়।

গরমে অত্যধিক আর্দ্রতা ও ঘামের কারণে ছত্রাকের সংক্রমণ বেড়ে যায়। অনেক সময় ত্বকে কাটা কাটা ভাব কিংবা ত্বকের ফুসকুড়ি হয়।

ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ প্রদীপ আলাতের মতে, ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে। সাধারণত এগুলো ত্বকে হালকা দাগের সৃষ্টি করে।

এর থেকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার ভাব হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ কিংবা ক্রিম লাগালে তা সেরে যায়। তবে স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিম এক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা জরুরি।

এর পাশাপাশি অ্যান্টিফাঙ্গাল সাবান ও পাউডার ব্যবহার করতে হবে। অন্যের তোয়ালে বা পোশাক কখনোই ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে দুদিন অন্তর বিছানার চাদর পরিষ্কার করুন। এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলো মেনে চলবেন-

>> টাইট জামাকাপড়, জিন্স ও জুতা বেশি পরবেন না। এর বদলে ঢিলেঢালা পোশাক, প্যান্ট ও স্লিপার পরুন।
>> হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন। কারণ নখে অনেক জীবাণু জমে।
>> ঘামে ভেজা পোশাক দ্রুত খুলে ফেলুন।
>> নিজেকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
>> অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না। এতেও ত্বকে ফুসকুড়ি উঠতে পারে।
>> গরমে সুতির পোশাক পরুন।
>> বেশি তেল-মসলাযুক্ত ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
>> খাদ্যতালিকায় রসুন যুক্ত করুন। রসুনে অ্যান্ট ব্যকটেরিয়া ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিস্ট্য আছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।