বিশেষ দিনে মাকে যা উপহার দেবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ০৮ মে ২০২২

মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে প্রতিবছর মে মাসে পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। যদিও বছরের প্রতিটি দিনই হওয়া উচিত মা দিবস। বিশ্বব্যাপী নানা জাকজমকতা ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে এই দিবস পালন করা হয়।

মাকে প্রচুর উপহার দেওয়া, তার সঙ্গে সময় কাটানো কিংবা পছন্দের খাবার তৈরি করে পরিবারকে চমকে দেওয়ার মাধ্যমে অনেক সন্তানেরাই এই দিন উদযাপন করেন। দিনটি সব সন্তানের কাছেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেক মায়েরাও এই দিবস নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত থাকেন।

বিশেষ এই দিনে মা কী উপহার দেওয়া যায়, এ নিয়ে অনেকেই নানা ধারনের পরিকল্পনা করেন। আবার অনেকেই খুঁজে বের করতে পারেন না মাকে কী উপহার দেবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিশেষ এই দিনে মায়ের উপহার কেমন হবে-

>> আপনার মা যদি ফুল পছন্দ করেন তাহলে আজকের এই বিশেষ দিন তার পছন্দের ফুল উপহার দিতে পারেন।

>> আর যদি আপনার মা গার্ডেনিং করতে ভালোবাসেন, তাহলে তাকে বাগান পরিচর্যার বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও উপহার দিকে পারেন।

>> রান্নার বিভিন্ন গ্যাজেট এখন সহজলভ্য। রাইস কুকার, কারি কুকার, স্মুদি মেকার, রুটি মেকার, ইলেকট্রনিক কেটলি কিংবা স্লাইসার ইত্যাদি মাকে উপহার দিতে পারেন। কারণ এসব গ্যাজেট রান্নাঘরের কাজে খুবই উপকার করে।

>> মা যদি মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, তাহলে তাকে আজিএকটি সুন্দর বাক্সে বাহারি মিষ্টি সাজিয়ে মাকে উপহার দিন। মিষ্টির প্যাকেট কিংবা চকলেট ইত্যাদি হাতে পেলে অবশ্যই মা অনেক খুশি হবেন।

>> এই বিশেষ দিনে মাকে চমকে দিতে হাতে তৈরি কার্ডও উপহার দিতে পারে। সেখানে মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা মনের মাধুরি দিয়ে লিখুন।

>> মা যদি সাজগোজ পছন্দ করেন, তাহলে তাকে নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী উপহার দিন। সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার, ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রসাধনী উপহার দিতে পারেন মাকে।

>> জুয়েলারি কমবেশি সব মায়েরাই পছন্দ করেন। আপনিও চাইলে মায়ের জন্য গলার হার, নাকফুল, চুড়ি কিংবা কানের দুল কিনে উপহার দিতে পারেন।

>> সুগন্ধি মোমবাতি ঘরের পরিবেশকে মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে। যেহেতু মায়ের বেশিরভাগ সময় ঘরেই কাটানা, তাই মাকে সুগন্ধি ক্যান্ডেল উপহার দিতে পারেন।

সন্ধ্যায় একাকি সময় কাটানোর সময় এই মোমবাতির আলো ও সুগন্ধ মায়ের মন মুহূর্তেই ভালো করে দেবে।

>> মায়ের জন্য পোশাকও কিনতে পারেন। শাড়ি, কুর্তি কিংবা কামিজ কিনতে পারেন মায়ের পছন্দ অনুযায়ী।

বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। যুক্তরাষ্টের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস বিশেষ এই দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভেবেছিলেন।

তবে ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা গেলে তার সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যায়। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন।

অবশেষে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।