ডায়াবেটিস রোগীর ফুট আলসার হয় কেন, লক্ষণ কী?
ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই ফুট আলসারের সমস্যায় ভোগেন। ডায়াবেটিক ফুট আলসার রোগীর জন্য হতে পারে মারাত্মক এক সমস্যা। এটি সাধারণ অথচ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলিটাসের গুরুতর জটিলতা।
ডায়াবেটিসের কারণে যে কোনো ক্ষত সারতেই দেরি হয়। আর ডায়াবেটিস মেলিটাস হলো এক ধরনের ব্যাধি, যা টিস্যুর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর পায়ে কোনো ধরনের ক্ষত দেখা দিতে কখনো বিলম্ব করবেন না।
ফুট আলসার কেন হয়?
ডায়াবেটিক ফুট আলসার ইনসুলিন ব্যবহারকারী রোগীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন হওয়া, তামাক ও অ্যালকোহল ব্যবহারের কারণে এ ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
এটি একটি ছোট আলসার বা ঘায়ের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি করে। যদি দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করা হয় তবে আলসারের সংক্রমণ স্থায়ী হতে পারে।
এরপর ফোঁড়ার সৃষ্টি হয় ও অস্টিওমিএলাইটিস নামক হাড়ের সংক্রমণ করাতে পারে। চিকিৎসায় আরও দেরি হলে প্রভাবিত এলাকায় গ্যাংরিন বা পচন শুরু হয়। এমনকি শেষ পর্যন্ত পা কাটতেও হতে পারে।
ফুট আলসারের লক্ষণ কি কি?
ডায়াবেটিক ফুট আলসার সব সময় বেদনাদায়ক নাও হতে পারে। ডায়াবেটিক আলসার হলে আক্রান্ত স্থানের চামড়া পুরু হয়ে লাল গর্তের মতো সৃষ্টি হয়।
গুরুতর ক্ষেত্রে এই গর্ত গভীর হয় ও হাড় পর্যন্ত ক্ষত পৌঁছে যায়। তখন যন্ত্রণার কারণে পা ফুলে যায় ও প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। অবশেষে দুর্গন্ধ পুঁজ ও ক্ষত স্থানটি ভয়বাহ হয়ে ওঠে।
এটি কীভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
সাধারণত চিকিৎসকরা ক্ষত পরীক্ষা করে ডায়াবেটিক ফুট আলসার নির্ণয় করেন। একই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা ও পায়ের প্রেসার পয়েন্টে পরীক্ষা করতে চলাফেরার প্যাটার্ন, প্রতিক্রিয়া ও পায়ের পাতায় উত্তেজনাও পরীক্ষা করেন চিকিৎসক। এক্ষেত্রে রক্ত, ক্ষত, এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ফুট আলসার নিরাময়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। ফুট আলসার চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বৃদ্ধি নিরাময় করা, যাতে ক্ষত সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায়।
সূত্র: মাই উপাচার
জেএমএস/এমএস