সারারাত এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ৩১ মার্চ ২০২২

গরমে এখন অতীষ্ট জনজীবন। ফ্যান বা এসি ছাড়া ঘরে টেকাই কষ্টকর। এ সময় সারাদিন ও রাত ঘরে ফ্যান বা এসি চালানোর কারণে বিদ্যুৎ বিল আবার বেড়ে যায়। বিশেষ করে অনেকে ঘরে এসি রেখেও সারারাত তা চালান না বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে।

আসলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালালে বিদ্যুতের বিল একটু বেশিই ওঠে। তবে গরমে স্বস্তি পেতে তা চালাতেই হয়। তবে যদি সামান্য বুদ্ধি খাটান তাহলে সহজেই বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৫ উপায়-

>> ঘুমানোর সময় এসিতে টাইমার দিয়ে রাখুন। মোটামুটি ঘণ্টা দুয়েকে এসি চালানো থাকলেই ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে। তারপর আর এসির দরকার হয় না। তবে ঘুমিয়ে পড়লে অনেকেই পরে উঠে আর এসি বন্ধ করেন না।
ফলে সারারাতই এসি চলে। এতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসাটাই স্বাভাবিক। তাই ঘুমানোর আগে যদি টাইমার সেট করে রাখেন, তাহলে আপনি ঘুমিয়ে পড়লেও নির্দিষ্ট সময় পর এসি ঠিকই বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বিদ্যুৎ ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।

>> ঘরের তাপমাত্রা যত বেশি হবে ততই কুলার বা এ ধরনের যন্ত্র ঘর ঠান্ডা করবে দ্রুত। সেক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে এসি চালানোরও প্রয়োজন পড়বে না। ফলে বিদ্যুৎ বিলও কমবে।

এজন্য ঘরে মোটা পর্দা লাগান। এতে বাইরের গরম হাওয়া ও আলো কম আসবে। ফলে ঘরও তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে।

>> এসির তাপমাত্রা অবশ্যই ২৪-২৬ সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখুন। সারারাত যদি এসি চালু রাখতে চান তাহলে ঘুমনোর আগে এসি স্লিপ মোডে দিয়ে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ কম পুড়বে।

>> যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পুরোনো হয়ে গেলে তার গুণমান খারাপ হয়ে যায়। অনেক দিন ধরে একই যন্ত্র ব্যবহার করলে তা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। বেশি পুরোনো হয়ে গেল বিদ্যুৎ পোড়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিলও বেশি আসে।

>> নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। না হলে ফিল্টারে জমে থাকা ময়লা বা ঝুলের কারণে বিদ্যুৎ বেশি পুড়বে। তাই বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এসির ফিল্টার পরিষ্কার রাখাও জরুরি।

সূত্র: দ্য বেটার ইন্ডিয়া

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।