কলেরায় আক্রান্ত কি না বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
কলেরা গ্রামাঞ্চলে ওলাওঠা রোগ নামেই বেশি পরিচিত। অতীতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যেত। রোগটি মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে এখনো এই রোগের প্রকোপ কমেনি।
এক সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ২৯ লাখ মানুষ কলেরা রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ৯৫ হাজার মানুষই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নমুনা পরীক্ষায় বেশিরভাগ রোগীর দেহেই কলেরার জীবাণু ধরা পড়েছে।
ঘণ্টায় ৬০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবিতে। আইসিডিডিআরবির ৬০ বছরের ইতিহাসে এত রোগীর চাপ তারা দেখেনি।
কলেরা কেন হয়? অপরিচ্ছন্ন খাবার খেলে কিংবা দূষিত পান করার কারণেই এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। হয়ে থাকে। এই রোগের কারণে সাধারণত মানুষের শরীরে পানির কমতি দেখা দেয়।
তবে এর পেছনে দায়ী এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। যাকে এই রোগ সৃষ্টি করার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কলেরার কারণ নিয়ে করা একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন থেকেই কলেরা রোগ হয়। আর এই ইনফেকশনকে ভিব্রিয়ো কলেরি ইনফেকশন সংক্রমণ বলা হয়।
এই ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল হলো দূষিত পানির মধ্যেই থাকে। তারপর তা মানুষের শরীরে পৌঁছানোর পর সক্রিয় হয়ে ওঠে ও অ্যান্টেরোটক্সিন (এক ধরনের টক্সিন) তৈরি করে। এর ফলেই ডায়ারিয়ার মতো রোগ দেখা দেয়। আর তা কলেরার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীর শরীরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে তারা ক্রমাগত বমি করেন। সংক্রমণ শুরু হওয়ার ২-৩ দিন পর থেকে সাধারণত রোগীর শরীরে কলেরার লক্ষণ ফুটে ওঠে। এছাড়া কলেরা আক্রান্ত রোগীর শরীরে আরও যেসব লক্ষণ ফুটে ওঠে তা জেনে নিন-
>> বারবার বমি ও মলত্যাগ হওয়া এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার একটি মূল লক্ষণ। এই রোগের প্রকোপে রোগী পাতলা মলত্যাগ করে থাকেন।
>> ডায়ারিয়ার পাশাপাশি পায়ে আঁটুনি বা লেগ ক্র্যাম্পের সমস্যাও প্রকাশ পায়।
>> হার্ট বিট বেড়ে যায়।
>> দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়।
>> কলেরা রোগ হলে রক্তচাপ কমে যায়।
>> বারবার পানি পিপাসা বোধ করাও কলেরার লক্ষণ।
এসব লক্ষণ দেখা দিলেই তা কলেরা রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাই দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা করুন। অন্যথায় এই রোগ কিন্তু প্রাণঘাতীও হতে পারে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ
জেএমএস/জেআইএম